সিনহা হত্যা মামলা : ৩ সাক্ষী ফের ৪ দিনের রিমান্ডে

সিনহা হত্যা মামলা : ৩ সাক্ষী ফের ৪ দিনের রিমান্ডে

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোঃ রাশেদ খান

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোঃ রাশেদ খান হত্যার ঘটনায় পুলিশের মামলার তিন সাক্ষীকে চার দিনের রিমান্ডে নিয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়ান (র‌্যাব)। শনিবার সকাল সোয়া ১১টার দিকে কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে র‌্যাবের একটি দল তাদের নিয়ে গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা কারাগারের সুপার মোকাম্মেল হোসেন।

রিমান্ডে নেয়া তিন আসামি হলেন টেকনাফ মারিশবুনিয়া এলাকার নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দিন ও মোঃ আয়াছ।

গত ২৫ আগস্ট তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাবের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম তাদেরকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে দ্বিতীয় দফায় চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক তামান্না ফারাহ। এর আগে গত ২০ আগস্ট প্রথম দফায় তাদের সাত দিনের রিমান্ড শেষ হয়েছিল।

মেজর সিনহা খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষীকে ১১ আগস্ট মারিশবুনিয়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।
৩১ জুলাই মেজর (অব.) সিনহা নিহত হওয়ার পর তার সাথে থাকা সিফাতের বিরুদ্ধে মাদক ও পুলিশকে দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়ার অভিযোগে টেকনাফ থানায় মামলা করে পুলিশ। উপপরিদর্শক নন্দ দুলাল রক্ষিতের দায়ের করা ওই মামলায় এই তিনজনকে সাক্ষী দেখানো হয়েছিল।

উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের পাহাড়ে ভিডিও চিত্র ধারণ করে কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ দিয়ে হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোঃ রাশেদ খান।

এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে তিনটি মামলা হয়। দুটি মামলা হয় টেকনাফ থানায়। সরকারি কাজে বাধা দানের মামলার আসামি করা হয় সিফাতকে। হত্যাচেষ্টা মামলায় সিফাত ও নিহত সিনহাকে আসামি করা হয়। পরদি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে রামু থানায় দায়ের করা মামলায় আসামি করা হয় শিপ্রা দেবনাথকে।

একই ঘটনায় ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলী, থানার এসআই নন্দলাল রক্ষিতসহ নয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। পরের দিন সাত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।

এ মামলার অপর দুই আসামি এসআই টুটুল ও মোঃ মোস্তফা আদালতে হাজির হননি। পুলিশের দাবি, এই নামে জেলা পুলিশে কেউ নেই। তবে আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।

সিনহা হত্যার ঘটনায় এ পর্যন্ত সাত পুলিশ সদস্য, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্য ও টেকনাফ পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষীসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।