১০৭ উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলছে

১০৭ উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলছে

সংগৃহিত।

চতুর্থ ধাপে দেশের ২২ জেলার ১০৭ উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলছে।

রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলবে।

সহিংসতার আশঙ্কায় এ ধাপে ৪৯টি উপজেলায় অতিরিক্ত বিজিবি ও র‌্যাব সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। অন্যান্য নির্বাচনী এলাকাগুলোতেও রয়েছে পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব ও আনসার সদস্যদের মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স।

ভোটগ্রহণ উপলক্ষে নির্বাচনী এলাকাগুলোতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে তিন এমপিকে নির্বাচনী এলাকা ত্যাগ করতে বলা হয়েছে।

এ ধাপে ৮৮ চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

সব পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় ভোট হচ্ছে না ১৫ উপজেলায়। এ ধাপের মধ্য দিয়ে আপাতত চার ধাপের ভোটগ্রহণ শেষ হচ্ছে। পঞ্চম ধাপের উপজেলা নির্বাচন রোজার ঈদের পর অনুষ্ঠিত হবে। ইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিকে শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ, টাঙ্গাইলের ঘাটাইল ও বরগুনার আমতলীতে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা এবং নির্বাচনী অফিস ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া কুমিল্লার তিতাসের ওসিকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, নির্বাচনী উপজেলাগুলোতে শনিবার কেন্দ্রে কেন্দ্রে নির্বাচনী মালামাল পাঠানো হয়েছে।

ইসির কর্মকর্তারা জানান, চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ইসিতে বেশ কিছু অভিযোগ ও তথ্য এসেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে এ ধাপে অন্তত ১০ এমপিকে নির্বাচনী এলাকা ছাড়তে বলা হয়েছে।

সর্বশেষ শনিবার তিনজন ও এর আগে সাতজনকে এ সংক্রান্ত চিঠি দেয়া হয়েছে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিরপেক্ষ ও কঠোর অবস্থানে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

৪৯ উপজেলায় বাড়তি সতর্কতা হিসেবে ৪৮টিতে ১১১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন ও ৪৮ প্লাটুন রিজার্ভ এবং একটি উপজেলায় র‌্যাবের ৪টি টিম মোতায়েন ও ১টি টিম রিজার্ভ অবস্থায় রাখা হয়েছে।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, চতুর্থ ধাপে ১২২ উপজেলায় ভোটের তফসিল ঘোষণা করেছিল ইসি। এর মধ্যে আদালতের আদেশে চারটি ও ইসি দুটিসহ ৬টি উপজেলার ভোট স্থগিত করা হয়েছে।

অপরদিকে তৃতীয় ধাপের ৬টি উপজেলা স্থানান্তর করে এ ধাপে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। আর ১৫টি উপজেলার সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়ায় সেখানে ভোটের প্রয়োজন হচ্ছে না। সব মিলিয়ে এ ধাপে ১০৭টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ হচ্ছে। পটুয়াখালী সদর, কক্সবাজার সদর, বাগেরহাট সদর, ময়মনসিংহ সদর, মুন্সীগঞ্জ সদর ও ফেনী সদর- এ ছয়টি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

আরও জানা গেছে, চতুর্থ ধাপের ১০৭ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩৫১, ভাইস চেয়ারম্যান ৫৩৩ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪০৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এসব উপজেলায় ভোটকেন্দ্র ৯ হাজার ৭৪০টি ও ভোটকক্ষ ৬৩ হাজার ৬৯৬টি। ভোটার রয়েছেন ২ কোটি ৫৫ লাখ ৪০ হাজার ৭০৪ জন।

আদালতের আদেশে যে চারটি উপজেলা নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে সেগুলো হচ্ছে- খুলনার ডুমুরিয়া, ফেনীর ছাগলনাইয়া, ময়মনসিংহের ত্রিশাল ও কুমিল্লার বরুড়া। আর ইসি বন্ধ করেছে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া ও নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলা নির্বাচন।