প্রকৃতির স্বর্গরাজ্য বরিশালের কাশবন!
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কাশফুলের বন
বরিশাল শহর থেকে খানিকটা হেটে কীর্তণখোলা উপর থেকে বয়ে যাওয়া আবদূর রব সেরনিয়াবাদ সেতু পাড় হলেই চোখে পড়বে প্রকৃতির এক অপরূপ দৃশ্য। এ যেন এক ফালি মায়া! নদী, নীল আকাশ আর কাশফুলের এক অচেনা রাজত্ব।
মনে হয় চোখের পলকেই সকল ক্লান্তি উবে যাবে। কাশফুলের শুভ্রতায় যে কেউ নিজেকে হারিয়ে ফেলবে নিজের চেনা জগৎ থেকে অনেক দূরে। শহরের সকল কোলাহল, ক্লান্তি, অবসাদ নিমিষেই হারিয়ে যাবে কাশফুলের মায়ায়।
তাই প্রতিদিন প্রকৃতিপ্রেমীরা ভিড় করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কাশফুলের রাজত্বে।
সবাই নিজের মত করে সময় কাটায় কেউ আবার ভালোবাসার মানুষটিকে নিয়ে এসেছে নীল সাদায় মিশে একাকার হয়ে যেতে।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আড্ডা দেবার অন্যতম স্থান এই কাশফুল বাগান। গান, নাচ আর আড্ডায় প্রতিদিনের বিকাল হয়ে ওঠে এক প্রকৃতিমঞ্চ!
বর্তমানে শিশুদের একাডেমীক কার্যক্রম, পড়ালেখা ও স্কুল বন্ধ থাকার কারনে তারা পাচ্ছে না তাদের পর্যাপ্ত খোলা মাঠ। অন্যদিকে এই কাশবনই যেন শিশুদের স্বর্গরাজ্য। প্রতিদিন বিকেলে শিশুরা নানা আয়োজনে মাতিয়ে রাখে এই কাশবাগান।
উক্ত কাশবনকে উদ্দেশ্য করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী লিখন রায় বলেন " আজকের এই তথ্য প্রযুক্তির যুগে মানুষ খুব একা হয়ে পড়ছে। যার প্রভাব পড়ছে তার সামাজিক ও মানসিক জীবনে। মানুষ কে প্রকৃতির কাছে যেতে হবে মনকে সজীব রাখতে হবে। তাহলেই আমরা সকল বাধা ভেদ করে এগিয়ে যেতে পারবো সুন্দর আগামীর পানে। তার জন্য এই কাশবন অনেকটাই পরিবেশ বান্ধব ।
আপনি যদি প্রকৃতিপ্রেমী হয়ে থাকেন ,বরিশাল আসলে একবার হলেও এই স্বর্গরাজ্যে আসার নিমন্ত্রন রইলো।
নাজিউর নাসিম
শিক্ষার্থী,
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ
ঢাকা কলেজ, ঢাকা।