কুবির লাল মাটিতে শুভ্র কাশফুলের চাদর

কুবির লাল মাটিতে শুভ্র কাশফুলের চাদর

শুভ্র কাশফুলে ছেয়ে গেছে বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনারের চারপাশ। ছবি: জুবায়ের আহমেদ।

আবু জাফর-

যতদূর চোখ যায় দিগন্তহীন শুভ্র কাশফুল। আশে পাশের পাহাড় গুলোও ঢেকে গেছে ফুলে ফুলে। যেন প্রকৃতি নিজ হাতে সাজিয়েছে এগুলো।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় লালমাই পাহাড়ের উপর প্রতিষ্ঠিত। সবগুলো ফ্যাকাল্টি টিলার উপর। বর্ষা কালে যেমন রক্তিম পানির স্রোতে পাহাড় বেয়ে নিচে নামে। বসন্তের কৃষ্ণচূড়া ফুলেও পাহাড় আবৃত থাকে তেমনি শরতেও শুভ্র কাশফুলে নতুন রূপে দেখা দেয় কুবি। এ যেন ষড়ঋতুর বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। করোনা কালীন এ সময়ে জনমানবহীন কুবি ক্যাম্পাসে কাশফুলের সৌন্দর্য আরো কয়েক গুণ বেড়েছে। যে কোন প্রকৃতি প্রেমিকের কাছে স্বর্গ তুল্য এখন কুবির ৫০ একর।

শহীদ মিনারের আশেপাশের পাহাড় গুলোও শুভ্র কাশফুলে আবৃত। শহীদদের প্রতি এক রাশ শ্রদ্ধা তারা দিন-রাত জানাচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ার বদৌলতে কাশফুলের সৌন্দর্য ছড়িয়ে পড়ছে  চারদিকে। তাতে বহু দূর থেকে প্রকৃতি প্রেমীরা এখানে এসে প্রান ফিরে পাচ্ছে । করোনা কালীন এ সময়তে বহু মানুষই বাড়িতে থেকে হাঁপিয়ে যাচ্ছে। তথাপি করোনা আশঙ্কায় অনেকেই দূর ভ্রমণে যেতে অনীহা প্রকাশ করে। তাই কুমিল্লা ও আশে-পাশের জেলার মানুষ ভ্রমণের জন্য শালবন বিহারে  আসলে কোন ক্রমেই কুবির সৌন্দর্য না দেখে যাচ্ছে না।
 
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীগণ তাদের ক্যম্পাস নিয়ে খুবই উচ্ছ্বাসিত। তারা কেউ কেউ প্রাণের ক্যাম্পাসের টানে দেখতে এসে পড়েছেনে। আর হালকা হাওয়ায় দোল খাওয়া কাশফুলের সাথে ছবি তুলে নিজস্ব টাইম লাইনে আপলোড করছেনে। সদ্য কুবি ভ্রমন করে ফেরা ফার্মেসী বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্র জুবায়ের বলেন "আসলেই এমন একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে নিজেকে শিক্ষার পাশাপাশি মানসিক ভাবে উৎফুল্ল অনুভব করি, বিশেষত শরতের কাশফুল আমার হৃদয় ছুয়ে গেছে"।

লেখক: শিক্ষার্থী কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ও
অর্থ সম্পাদক: বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, কুবি শাখা।