মালি রবিউলের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি

মালি রবিউলের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি

মালি রবিউলকে আদলতে হাজির করা হয়। ফাইল ছবি।

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার ওপর হামলার ঘটনায় আসামি রবিউলের ছয় দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে তোলা হয়।

বৃহস্পতিবারই (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আঞ্জুমান আরা বেগমের আদালতে তাকে হাজির করা হয়। এ সময় জবানবন্দি গ্রহণের আবেদন জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। পরে বিচারকের খাস কামরায় তার জবানবন্দি নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়। সে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

এর আগে গত ৯ সেপ্টেম্বর প্রযুক্তির সহায়তায় রবিউলকে নিজ বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে নিজের দোষ স্বীকার করে বলে জানায় পুলিশ।

শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) এ হত্যাচেষ্টার মামলায় আটক কর্মচারী মালি রবিউল ইসলাম ও নাইটগার্ড নাদিম হোসেন পলাশকে আদালতে তোলা হয়। তদন্তকারী কর্মকতা রবিউলের ১০ দিন রিমান্ড চাইলে ৬ দিন মঞ্জুর করেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইসমাইল হোসেন।

এদিকে, নাইটগার্ড নাদিম হোসেন পলাশের বিরুদ্ধে রিমান্ডের জন্য কোনো আবেদন না করায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ওইদিন এ ব্যাপারে জেলা গোয়েন্দা-ডিবির ওসি (তদন্ত) ইমাম জাফর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এদিকে, এ মামলার প্রধান আসামি যুবলীগ নেতা (বহিষ্কৃত) আসাদুল ইসলামকে ৭ দিনের রিমান্ড শেষে জেলা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন বিচারক। তদন্তকারী কর্মকতা নতুন করে রিমান্ড আবেদন না করায় বিচারক এ আদেশ দেন। গত ৭ সেপ্টেম্বর থেকে সে ৭ দিনের রিমান্ডে ছিল।

উল্লেখ্য, গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে ইউএনও’র সরকারি বাসভবনের ভেন্টিলেটর ভেঙে ভেতরে ঢুকে ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলী শেখের ওপর নৃশংস হামলা চালানো হয়। ইউএনও ঢাকায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।