হংকংয়ে সরকার বিরোধী প্রতিবাদে যোগ দিয়েছে সরকারি কর্মকর্তারা

হংকংয়ে সরকার বিরোধী প্রতিবাদে যোগ দিয়েছে  সরকারি কর্মকর্তারা

ছবি সংগৃহিত।

হংকংয়ে শুক্রবার হাজার হাজার সরকারি কর্মকর্তা সরকারের বিরুদ্ধে চলমান প্রতিবাদে শামিল হয়েছে। জুনের প্রথমে শুরু হওয়া এই সরকারবিরোধী বিক্ষোভের রেশ এখনও যায়নি দেশটি থেকে। টানা ৯ সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ চলছে। এছাড়া শনিবার বিক্ষোভকারীদের দিকে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। সোমবার শহরজুড়ে বড় আকারের অবরোধের ডাক দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। এ খবর দিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস ও বিবিসি। 

বেইজিং ও হংকংয়ে অবস্থানরত চীনা সেনাবাহিনী বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি জারি করেছে। এর আগে শুক্রবার সরকারের সতর্কতা সত্ত্বেও, হাজারো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারি চ্যাটার গার্ডেনের আশপাশের সড়কে উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছে।

সংগঠকরা বলেছেন, প্রায় ৪০ হাজার মানুষ ওই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে। তবে পুলিশ বলছে এ সংখ্যা সর্বোচ্চ ১৩ হাজার।
হংকং-এর সিভিল সার্ভিসের সাবেক প্রধান কর্মকর্তা জোসেফ ওং এই বিক্ষোভে অংশ নেন। তিনি দেশের প্রধান নির্বাহী চ্যারি ল্যামকে পদত্যাগের আহবান জানান। তিনি সমাবেশে বলেন, আমরা যদি মনে করি যে, যেসব কর্মকর্তা বা যে প্রধান নির্বাহী আইনের শাসন লঙ্ঘন করেছেন বা অনুসরণে ব্যর্থ হয়েছেন, তাহলে সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে, বেসামরিক নাগরিক হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হলো সেই কথা তুলে ধরা।
ওই সমাবেশে অংশগ্রহণকারী অনেকে অবশ্য বলছেন, ২১শে জুলাই একটি ট্রেন স্টেশনের ভেতর প্রতিবাদকারীদের ওপর দুর্বৃত্তদের হামলার ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে পুলিশ বিলম্ব করেছে। এ বিষয়টি তাদের ক্ষুব্ধ করেছে। 
তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মকর্তারা আনুগত্য ও রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ থাকার শপথ নিয়েছেন। সুতরাং, সরকারবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেওয়া হবে সেই শপথের লঙ্ঘন। অংশগ্রহণকারী একজন কর্মকর্তা বলেন, সিভিল সার্ভিসের যে কোড রয়েছে, তাতে কেবল রাজনৈতিক নিরপেক্ষতার কথাই বলা নেই। এর প্রথম লাইন, যেটা আমি লিখেছি, সেখানে বলা আছে, আইনের শাসনকে সুরক্ষিত রাখা। আইনের শাসন সুরক্ষিত রাখা কোনো কর্মকর্তা বা প্রধান নির্বাহীর প্রতি অনুগত থাকার চেয়েও বড়। আইনের শাসনের চেয়ে বড় কেউ হতে পারে না।
এদিকে, বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত কোনো হস্তক্ষেপ না করলেও, হংকং-এ অবস্থানরত চীনা সেনাবাহিনীর গ্যারিসন কমান্ডার বলেছেন, এই বিক্ষোভ সহ্য করা উচিত নয়। এছাড়া সেনাবাহিনী দাঙ্গা দমনের একটি মহড়ার ভিডিও চীনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ওয়েইবোতে আপলোড করেছে। এ নিয়েও উত্তেজনা ছড়িয়েছে।