ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিটের অনুমতি দেয়নি সরকার: ডা. জাফরুল্লাহ

ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিটের অনুমতি দেয়নি সরকার: ডা. জাফরুল্লাহ

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, এই সরকার ব্যবসায়ীদের সরকার। তাই আমাদের অ্যান্টি-বডি এবং অ্যান্টিজেন কিট প্রস্তুত থাকার পরও সরকার তা অনুমোদন না দিয়ে আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। এটি ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে।

মঙ্গলবার ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র নগর হাসপাতালের সামনে অনুষ্ঠিত কোভিড-১৯ ফ্রন্টলাইন যোদ্ধাদের সম্মান জানাতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সারাদেশে ৩০টি কেন্দ্রে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র মিডিয়া উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু সঞ্চালনায় জি কে পরিচালক মোহাম্মদ শওকত আলী অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন।

মুক্তিযোদ্ধা ও ঔষধ নীতির প্রবক্তা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সরকারের উদ্দেশ্য বলেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র কিটের অনুমতি চেয়ে আর আবেদন করবে না।  তবে সরকার যদি নিজে অনুমোদন দেয় তবে কিট সরবরাহ করবে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।

তিনি বলেন, সরকার এখনো ভুলনীতিতে চলছে। তারা সময় মতো করোনার ভ্যাকসিন ট্রায়ালের অনুমোদন দেয়নি। কিট উন্নয়নে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ১০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু সরকার অনুমোদন দেয়নি। এর উদ্দেশ্য শুধুই ব্যবসায়িক। এখন বিদেশ থেকে আমদানি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সরকার ব্যবসায়িক সরকার বলেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, কীট উন্নয়নে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ১০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু সরকার অনুমোদন দেয়নি। তিনি মনে করেন, এর উদ্দেশ্য শুধুই ব্যবসায়িক। এখন বিদেশ থেকে আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে, ব্যবসায়িক সরকার বলেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, নিরপেক্ষ মধ্যবর্তী নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হলেই দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে। এই সরকার যা ইচ্ছে তাই করছে।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, যুদ্ধ হলে লোক মারা যাবে। তেমনি স্বাস্থ্যের দুর্যোগের সময় ডাক্তার নার্স এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকবেন। কিন্তু এদের জন্য সরকারের যথেষ্ট সাহায্য সহযোগিতা থাকা উচিত।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী সহ কয়েক’ শ মানুষ একযোগে এক মিনিট করতালির মাধ্যমে করোনায় সম্মুখ যোদ্ধাদের শ্রদ্ধা জানান।