পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বড়সড় গ্রহাণু

পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বড়সড় গ্রহাণু

প্রতীকী ছবি।

ফের পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বড়সড় গ্রহাণু। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) পৃথিবী থেকে মাত্র ২২ হাজার মাইল (৩৬,০০০ কিলোমিটার) দূর দিয়ে চলে যাবে ওই মহাজাগতিক বস্তু। একটি স্কুলবাসের আকারের ওই গ্রহাণুর নাম ২০২০ এসডবলিউ।

গত শুক্রবার প্রথমবার এটির আগমনের কথা প্রকাশ্যে আনে আরিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাটালিনা স্কাই সার্ভে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, গ্রহাণুটি ১৫ থেকে ৩০ ফুট চওড়া। কিন্তু আকারে অত বড় হওয়া সত্ত্বেও সেটি পৃথিবীর কোনও ক্ষতি করতে পারবে না বলে সকলকে আশ্বস্ত করেছেন তাঁরা।

নাসার বিজ্ঞানীদের মতে, গ্রহাণুটির সঙ্গে পৃথিবীর টক্করের কোনও সম্ভাবনা নেই। আর যদি সেটি পৃথিবীর দিকেও আসত, তাহলেও ভয়ের কিছু থাকত না। বরং সেটি বায়ুমণ্ডলের সংস্পর্শে এসে টুকরো টুকরো হয়ে যেত। নাসা আরও জানাচ্ছে, এই ধরনের গ্রহাণু গ্রহাণু প্রতি বছরই বহুবার পৃথিবীর পরিমণ্ডলে চলে আসে। এবং তার ফলে প্রতি এক থেকে দু’বছর অন্তর আমাদের বায়ুমণ্ডলের কিছু পরিবর্তন ঘটে।

সাধারণত এই ধরনের গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষের সম্ভাবনা কমই থাকে। তবে কখনও কখনও অন্য গ্রহের সঙ্গে মহাকর্ষীয় টানের কারণে তারা আচমকাই অনেকটা কাছে চলে আসে। তাছাড়াও অনেক ক্ষেত্রে গ্রহাণুর মতো ছোট মহাজাগতিক বস্তু সূর্যের আলো শুষে উত্তপ্ত হয়ে তাপ নির্গত করে। এর ফলেও তাদের গতিবিধিতে পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। একে ‘ইয়ার্কোভস্কি এফেক্ট’ বলে।

এই ধরনের আগন্তুক গ্রহাণু অতীতে বহুবার পৃথিবীতে আছড়‌ে পড়েছে এবং পৃথিবীর বিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। 

প্রসঙ্গত, প্রাগৈতিহাসিক কালে পৃথিবীর বুকে রাজত্ব করা ডাইনোসরদের অবলুপ্তির পিছনেও এই ধরনের মহাজাগতিক বস্তুর আছড়ে পড়াকে অন্যতম কারণ হিসেবে দাবি করেন বিজ্ঞানীরা। সাম্প্রতিক অতীতে বহুবারই গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষে মানব সভ্যতা ধ্বংস হওয়ার নানা জল্পনা ও গুজব শোনা গিয়েছে।