কাশ্মীর ইস্যুতে মুসলিম বিশ্বের নেতারা ঐক্যবদ্ধ হচ্ছেন

কাশ্মীর ইস্যুতে মুসলিম বিশ্বের নেতারা ঐক্যবদ্ধ  হচ্ছেন

ছবি সংগৃহিত।

মুসলিম অধ্যুষিত জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা সংক্রান্ত সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করেছে ভারত। এ ঘটনায় ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের মুসলিম জনগোষ্ঠী আরও চাপে পড়েছে। মোদি সরকারের এই ঘোষণার পরপরই বিশ্বের মুসলিম নেতাদের একত্র করার দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতাদের সঙ্গে ই-মেইল, টেলিফোনসহ নানা মাধ্যমে একের পর এক যোগাযোগ করে চলেছেন। এরই মধ্যে বেশ কিছু দেশের নেতারা জম্মু-কাশ্মীর বিষয়ে পাকিস্তানের অবস্থানের প্রতি দৃঢ় সমর্থন জানিয়েছেন। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবদনে এসব কথা বলা হয়েছে।

বর্তমান মুসলিম বিশ্বের দাপুটে নেতা তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোগান পাকিস্তানকে সমর্থন জানিয়েছেন। সোমবার (৫ জুলাই) ইমরান খানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলে তার দেশ কাশ্মীরি জনগণের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন এরদোয়ান। সোমবার ভারতের রাজ্যসভার অধিবেশনে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল সংক্রান্ত প্রস্তাব পাস হয়। পাক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট এরদোগান। এই বিষয়ে তুরস্কের দৃঢ় সমর্থন পাকিস্তানের পাশে থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

তুরস্কের প্রেসিডেন্টকে টেলিফোনে ইমরান খান বলেন, ভারতের এই ঘোষণার ফলে এ আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও শান্তি বিঘ্নিত হবে এবং প্রতিবেশী দুই দেশের সম্পর্কের আরও অবনতি ঘটবে। কাশ্মীরিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের প্রতি পাকিস্তানের কূটনৈতিক, নৈতিক ও রাজনৈতিক সমর্থন থাকবে বলে জানান ইমরান খান। এ সময় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট পাকিস্তানের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

এর আগে ভারত অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীর ভেঙে দুই টুকরো করার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে টেলিফোন করেছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ। কাশ্মীর ইস্যুতে তিনি পাক প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিজের মন্তব্য প্রকাশ করেন তিনি।

এ সময় ইমরান খানও তার অবস্থান তুলে ধরে বলেন, কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা সংক্রান্ত ভারতের ঘোষণা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবনার পরিষ্কার লঙ্ঘন। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের জন্য অপেক্ষা করছেন। এই অধিবেশনের ফাঁকে তিনি ইমরান খানের সঙ্গে একটি বৈঠকে মিলিত হয়ে এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন।