ঈশ্বরদীতে নৌকার নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা ও গুলি বর্ষণের ঘটনায় দু’টি মামলা

ঈশ্বরদীতে নৌকার নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা ও গুলি বর্ষণের ঘটনায় দু’টি মামলা

ছবি: প্রতীকী ।

পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী নুরুজ্জামান বিশ্বাসের দু’টি নির্বাচন অফিস ভাংচুর ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় ঈশ্বরদী থানায় দু’টি মামলা দায়ের হয়েছে। দু’টি মামলায় ৫৬ জনকে নামীয় এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৪৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ সেখ নাসীর উদ্দিন বৃহস্পতিবার রাতে মামলা দায়েরের ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।
 
ঈশ্বরদীর সাহাপুরের আজিজল তলা নির্বাচনী অফিস ভাংচুর ও গুলি বর্ষণের ঘটনায় মুরাদ মালিথা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এই মামলায় ২৮ জন নামীয় এবং ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। সলিমপুর ইউনিয়নের মানিকনগর স্কুল সংলগ্ন নির্বাচন অফিসে এই হামলার ঘটনায় আমজাদ হোসেন ২৮ জনকে নামীয় এবং ১৫-২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। তবে এসব মামলায় কেউ গ্রেফতার হয়নি বলে ওসি জানান।

নৌকার প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান বিশ্বাস নৌকার দু’টি নির্বাচনী অফিস ভাংচুর ও গুলি বর্ষণের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। আমাকে গুলির ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। আগামী ২৬ তারিখে ব্যালটের মাধ্যমে এই বুলেটের জবাব দেয়া হবে।

এবিষয়ে বিএনপির ধানের শীষের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব হামলা ও মামলা দায়েরের ঘটনা ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবী করে বলেন, মিথ্যা মামলা করে বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানি করা হচ্ছে।

থানার অফিসার ইনচার্জ সেখ নাসীর উদ্দিন জানান, মামলায় বিএনপির নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়েছে কিনা আমরা জানিনা। তদন্ত করা হচ্ছে। এঘটনায় বিএনপির কোন নেতাকর্মীকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি এবং হয়রানিও করা হচ্ছে না বলে তিনি জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, বুধবার রাতে ঈশ্বরদীর সাহাপুরের আজিজল তলা নির্বাচনী অফিস এবং সলিমপুর ইউনিয়নের মানিকনগর স্কুল সংলগ্ন নির্বাচন অফিসে হামলার ঘটনা ঘটে।