নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগে ইবির তিন শিক্ষককে দুদকে তলব

নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগে ইবির তিন শিক্ষককে দুদকে তলব

ড. মাহবুব-রুহুল আমিন-আব্দুর রহিম। ফাইল ছবি।

শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্যে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযুক্ত শিক্ষকরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান, ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রুহুল আমীন ও ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস এম আব্দুর রহিম।

অভিযোগের ভিত্তিতে সুষ্ঠু অনুসন্ধানের জন্য বক্তব্য প্রদান করতে তাদেরকে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে। দুদকের উপ-পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা আব্দুল মাজেদ স্বাক্ষর করা প্রেরিত এক চিঠি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফ চিঠি প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'এমন একটি চিঠি দপ্তরে এসেছে। যে সকল শিক্ষককে হাজির হতে বলা হয়েছে ইতিমধ্যে আমরা তাদের বরারবর চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছি।'

চিঠিতে বলা হয়, উল্লিখিত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্যে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে বক্তব্য গ্রহণ ও শ্রবণ করা একান্ত প্রয়োজন। অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধানপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আব্দুল মাজেদকে অনুসন্ধানী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। এ ছাড়া অনুসন্ধানের জন্য নিয়োগ প্রার্থী আরিফ হাসানসহ নিয়োগের সাথে সংশ্লিষ্ট অন্যদেরকেউ আলাদা চিঠিতে তলব করা হয়েছে।

এ বিষয়ে সাবেক প্রক্টর ড. মাহবুবর রহমানের কাছে  চাইলে তিনি বলেন, 'এখনো চিঠি পাইনি। সরকারের  অনেক অর্গানের সাথে সাক্ষাতের অভিজ্ঞতা আছে। দুদক এর কাছে আমার সততার স্বীকৃতি পেলে সেটা হবে ষড়যন্ত্রকারীদের মুখে ছাই। সুতরাং দুদক ডাকলে আমি খুশিই হবো।'

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৯ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্যের একটি অডিও ফাঁস হয়। এতে নিয়োগের ব্যাপারে একজন প্রার্থীর সঙ্গে বিভাগের শিক্ষক সহযোগী অধ্যাপক রুহুল আমিন ও ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবদুর রহিমের কথোপকথোন পাওয়া যায়। অডিও ক্লিপ অনুসারে, শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্যের পেছনে একটি সিন্ডিকেট কাজ করেছে। অডিও ক্লিপে এসেছে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের শিক্ষক ও সাবেক প্রক্টর ড. মাহবুবর রহমানের নামও। সে সময় তাকে নিয়োগ বাণিজ্যের মূল হোতা বলে দাবি করে শাখা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।