‌ট্রাম্প, নেতানিয়াহুর পর নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত পুতিন

‌ট্রাম্প, নেতানিয়াহুর পর নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত পুতিন

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ফাইল ছবি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নাম আগেই মনোনীত হয়েছিল। এবার নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হল রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নাম। বিখ্যাত রুশ লেখক সের্গেই কোমকভের নেতৃত্বে লেখকদের একটি সংগঠন পুতিনের নাম মনোনীত করে নোবেল কমিটির কাছে বিবেচনার জন্য পাঠিয়েছে। তাঁদের মতে, গোটা বিশ্ব শান্তি স্থাপনে ট্রাম্প এবং নেতানিয়াহুর তুলনায় অনেক বেশি উদ্যোগী ছিলেন পুতিন, তাই তাঁকে যেন এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়। এর আগে ২০১৩ সালেও নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট।

প্রসঙ্গত, নির্দিষ্ট কিছু শর্ত মানলে যেকোনও ব্যক্তি অন্য কাউকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করতে পারেন, এবং তাঁর নাম নোবেল কমিটির কাছে পাঠাতে পারেন। ইতিমধ্যে ২০২০ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ৩০০টি নাম মনোনীত হয়েছে। আগামী ৯ অক্টোবর চলতি বছরের নোবেল প্রাপকদের নাম ঘোষণা করবে নোবেল কমিটি। এখন দেখার সেখানে নোবেল শান্তি পুরস্কার কে পান?‌

এই তালিকায় পুতিন ছাড়াও রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নাম। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ও ইসরাইলে মধ্যে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব মিটিয়ে চুক্তি করাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন ট্রাম্প। সেজন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টের নাম নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেন নরওয়ের সাংসদ ক্রিশ্চিয়ান টাইব্রিং জিজেডে। এরপর সংযুক্ত আরব আমিরাতের ও বাহরিনের সঙ্গে চুক্তি করায় নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন ইসারাইলে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তাঁর নাম মনোনীত করেন ইটালির নর্দান লিগ পার্টির সাংসদ পাওলো গ্রিমোলদি। এমনকী ঐতিহাসিক এই কাজের জন্য এবছর আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কার পাবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। নোবেল কমিটির কাছে জমা দেওয়া ইটালির সাংসদের প্রস্তাবে সমর্থন জানিয়েছেন ফিনল্যান্ডের সাংসদরাও।