দৌলতদিয়ায় নদী পারের অপেক্ষায় ৯ শতাধিক যানবাহন

দৌলতদিয়ায় নদী পারের অপেক্ষায় ৯ শতাধিক যানবাহন

ফাইল ছবি

বৈরী আবহাওয়া, নদীতে স্রোত ও বাড়তি যানবাহনের চাপে দৌলতদিয়ায় নদী পারের অপেক্ষায় মহাসড়কে আটকা পড়েছে প্রায় ৯ শতাধিক যানবাহন। এতে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে মহাসড়কের প্রায় ছয় কিলোমিটার এলাকা জুড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সিরিয়ালে পশুবাহী ট্রাক, যাত্রীবাহী বাস ও বিভিন্ন ধরনের পণ্যবাহী ট্রাক রয়েছে।

ঘণ্টার পর ঘণ্টা সিরিয়ালে আটকে থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী, চালক ও গরু ব্যবসায়ীরা। গরমে অনেক গরু অসুস্থ হওয়ার অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ীরা। তবে পশুবাহী ট্রাকগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করছে প্রশাসন।

এদিকে ঘরমুখো মানুষের চাপ বেড়েছে দৌলতদিয়ার লঞ্চ ও ফেরিঘাট এলাকায়। সেই সঙ্গে রয়েছে ছোট গাড়ির চাপ। অপরদিকে বৈরী আবহাওয়ার কারণে নদী কিছুটা উত্তাল থাকায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ ও ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ভোররাত থেকে থেমে থেমে নামা বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়েছেন লোকাল গাড়ির যাত্রীরা। এছাড়া কাদায় রাস্তা পিচ্ছিল হওয়ায় যানবাহন চলাচলেও ধীর গতি রয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত দৌলতদিয়া প্রান্তে এমন চিত্র দেখা গেছে।

 

গরুবাহী ট্রাক চালকরা জানান, তারা অনেকে গতকাল বিকেল ও মধ্যরাত থেকে গোয়ালন্দে প্রান্তে সিরিয়ালে আটকে পড়েন। আজ বেলা ১১টা পর্যন্ত তারা ফেরিঘাট এলাকায় আসলেও ফেরি পাননি। গরুগুলো গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে।

ঘরমুখো যাত্রীরা জানান, দৌলতদিয়া পর্যন্ত আসতে কোনো ভোগান্তি হয়নি। তবে পথে অনেক যানজট ও কিছু কিছু যাত্রী অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার অভিযোগ করেছেন।

 

ঘাট এলাকায় দ্বায়িত্বরত জেলা ট্রাফিক পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, ঘাট এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ২৫০ জন পুলিশ কাজ করছে।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) আবু আব্দুল্লাহ রনি জানান, বর্তমানে এ রুটে ছোট বড় ১৮টি ফেরি চলাচল করছে এবং ঈদ উপলক্ষে আজ-কালের মধ্যে আরও দুটি ফেরি বহরে যুক্ত হবে। এছাড়াও এ রুটে ৩৪টি লঞ্চ চলাচল করছে। বৈরী আবহাওয়া ও অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে দৌলতদিয়ায় যানবাহনের সিরিয়াল সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুতই তা কেটে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।