কিমিচের বিস্ময় গোল: বছরের পঞ্চম খেতাব বায়ার্নের

কিমিচের বিস্ময় গোল: বছরের পঞ্চম খেতাব বায়ার্নের

বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের বিরুদ্ধে কিমিচের সেই বিস্ময় গোল।

দু’গোলে এগিয়ে গিয়েও নাছোড় বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের বিরুদ্ধে বায়ার্ন মিউনিখের জয় খুব একটা সহজ বলে মনে হচ্ছিল না। কিন্তু ৮২ মিনিটে জোশুয়া কিমিচ যেটা করলেন সেটাকে ‘অবিশ্বাস্য’ বললেও কম বলা হয়। ম্যাচের ফল তখন ২-২। মাঝমাঠ থেকে বল ধরে সতীর্থ রবার্ট লেওয়ানদোস্কির সঙ্গে ওয়ান-টু খেলে কিমিচ মাটি ঘেঁষা একটা শট নিলে তা প্রাথমিকভাবে রক্ষা পায় বরুসিয়া গোলরক্ষক মারউইন হিৎজের দস্তানায়।

শটটি নেওয়ার সঙ্গে মাটিতে মুখ থুবড়ে পড়েও যান কিমিচ। কিন্তু মাটিতে পড়ে যাওয়া অবস্থাতেই ফিরতি বল চিপ করে জালে পাঠিয়ে দেন জার্মান মিডফিল্ডার। আর কিমিচের সেই বিস্ময় গোলেই বছরের পঞ্চম ট্রফি নিশ্চিত হল বাভারিয়ানদের। মাত্র ১০ মাস হল লেওয়ানদোস্কি, মুলারদের দায়িত্ব নিয়েছেন হান্সি ফ্লিক। আর দায়িত্ব নিয়েই গত তিন মাসে জার্মান জায়ান্টদের ট্রফি ক্যাবিনেটে তিনি এনে দিলেন বুন্দেসলিগা, জার্মান কাপ, উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ, উয়েফা সুপার কাপ এবং জার্মান সুপার কাপ।

পঞ্চম ট্রফি জিতে ফ্লিক জানিয়েছেন, ‘দ্বিতীয়ার্ধে আমাদের পক্ষে কাজটা খুব একটা সহজ ছিল না। ২-০ এগিয়ে থেকেও আমরা নিজেদের কাজটা কঠিন করে ফেলেছিলাম। তবে শেষমেষ আমরা ম্যাচটা জিতেছি এটাই গণ্য হবে। আগামী রবিবার হারথার বিরুদ্ধে ম্যাচে নিজেদের পারফরম্যান্সে উন্নতি করতে হবে আমাদের।’

উল্লেখ্য, সবধরনের প্রতিযোগীতা মিলিয়ে টানা ৩২ ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর বুন্দেসলিগায় গত রবিবার হফেনহেইমের কাছে ১-৪ গোলে পর্যুদস্ত হতে হয়েছিল ইউরোপ সেরাদের। সেই হারের রেশ কাটিয়ে এদিন ঘুরে দাঁড়ানোই লক্ষ্য ছিল বায়ার্নের। জার্মান সুপার কাপের ফাইনালে এদিন ১৮ এবং ৩২ মিনিটে কোরেন্তিন তোলিসো এবং থমাস মুলার গোল করে বায়ার্নকে এগিয়ে দেওয়ার পর মনে হয়নি কাজটা খুব একটা কঠিন হবে ফ্লিকের দলের। কিন্তু ৩৯ মিনিটে জুলিয়ান ব্র্যান্ডট গোল করে ব্যবধান কমান বরুসিয়ার হয়ে।

দ্বিতীয়ার্ধে ১০ মিনিটে আর্লিং হ্যালান্ড গোল করে সমতায় ফেরান বরুসিয়াকে। চার মিনিট বাদে প্রতি আক্রমণে ফের একবার গোলের খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন নরওয়ের ‘বিস্ময় বালক’। কিন্তু এযাত্রায় তাঁর বাঁ-পায়ের জোরালো ভলি নুয়েরের দস্তানায় প্রতিহত হয়। আর বরুসিয়ার সেই সুযোগ নষ্টের খেসারত তুলে ৮২ মিনিটে বাজিমাত করেন কিমিচ। মাটিতে পড়ে গিয়েও কিমিচের অবাক গোলকে ম্যাচ শেষে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন নুয়ের সহ দলের অন্যান্য সতীর্থরা।