ইউরোপের বর্ষসেরা লেওয়ানদোস্কি

ইউরোপের বর্ষসেরা লেওয়ানদোস্কি

ম্যানুয়েল নুয়ের-লেওয়ানদোস্কি-জোশুয়া কিমিচ।

বর্ষসেরার দৌড়ে লেওয়ানদোস্কির সঙ্গে ছিলেন ম্যাঞ্চেস্টার সিটি মিডফিল্ডার কেভিন দি ব্রুয়েনা এবং তাঁর সতীর্থ ম্যানুয়েল নুয়ের। বিচারকদের ভোটে ৪৭৭ পয়েন্ট পেয়ে দ্বিতীয়স্থানে থাকা দি ব্রুয়েনার থেকে বহুগুণ এগিয়ে থেকে প্রত্যাশামতোই উয়েফা বর্ষসেরার সম্মান পেলেন পোলিশ স্ট্রাইকার। উল্লেখ্য, লেওয়ানদোস্কির এই সম্মানের পিছনে অবশ্যই গত মরশুমে গোলের সামনে তাঁর ঈর্ষনীয় রেকর্ড কথা বলছে।

গত মৌসুমে ৪৭ ম্যাচে ৫৫ গোল করে বায়ার্নের ত্রিমুকুট জয়ে মস্ত বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন রবার্ট লেওয়ানদোস্কি। বুন্দেসলিগার সর্বোচ্চ স্কোরার হিসেবে ৩৪টি, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সর্বোচ্চ স্কোরার হিসেবে ১৫টি এবং জার্মান কাপের সর্বোচ্চ স্কোরার হিসেবে ৬টি গোল করেছিলেন এই পোলিশ স্ট্রাইকার। সঙ্গে রয়েছে ১০টি অ্যাসিস্ট। বর্ষসেরা পুরস্কার জিতে বায়ার্ন স্ট্রাইকার বলেন, ‘এটা একটা অসাধারণ অনুভূতি। আমি আমার সতীর্থ এবং কোচেদের ধন্যবাদ জানাতে চাই যাদের সঙ্গে আমি প্রতিনিয়ত ওঠাবসা করি। নিঃসন্দেহে আমার পরিবারকেও আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই।’

সতীর্থ লেওয়ানদোস্কির সঙ্গে বর্ষসেরার দৌড়ে না পেরে উঠলেও উয়েফার বিচারে বর্ষসেরা গোলরক্ষকের শিরোপা ছিনিয়ে নিলেন ম্যানুয়েল নুয়ের। তেমনই বর্ষসেরার দৌড়ে পিছিয়ে পড়লেও বর্ষসেরা মিডফিল্ডারের শিরোপা উঠল ম্যান সিটি মিডফিল্ডার কেভিন দি ব্রুয়েনার হাতে। বর্ষসেরা ডিফেন্ডার হয়েছেন বায়ার্নেরই জোশুয়া কিমিচ। জুর্গেন ক্লপ, জুলিয়ান নাগেলসম্যানকে পিছনে ফেলে বর্ষসেরা কোচের সম্মান ছিনিয়ে নিয়েছেন অবশ্যই বায়ার্ন কোচ হান্সি ফ্লিক। দলের দায়িত্ব নিয়ে মাত্র কয়েক মাসে যে সাফল্য বাভারিয়ানদের তিনি এনে দিয়েছন তা এককথায় স্বপ্নাতীত। সবমিলিয়ে উয়েফা বর্ষসেরার মঞ্চে বায়ার্ন মিউনিখের জয়জয়কার।

বর্ষসেরা মহিলা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছেন চেলসির পার্নিল হার্ডার। যদিও গত মৌসুমে তাঁর সাফল্য এসেছিল উলফসবার্গের হয়ে। ২০১৮ পর এই নিয়ে দ্বিতীয়বার বর্ষসেরার সম্মান পেলেন তিনি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এবং ইউরোপা লিগের গ্রুপ পর্ব মিলিয়ে ৮০টি ক্লাবের কোচ এবং উয়েফার ৫৫টি সদস্য দেশের সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের ভোটেই বর্ষসেরা নির্বাচিত হয়েছেন লেওয়ানদোস্কি-নুয়েররা।