বাংলাদেশ-ভারত চমৎকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ : ভারতীয় সহকারি হাইকমিশনার

বাংলাদেশ-ভারত চমৎকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ :  ভারতীয় সহকারি হাইকমিশনার

ছবি : প্রতিনিধি

রাজশাহীস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের সহকারী হাইকমিশনার সঞ্জিব কুমার ভাটি শনিবার বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারত চমৎকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত দু’দেশের বন্ধুসূলভ সম্পর্ক বজায় আছে, এটি বজায় থাকবে। তিনি আরও বলেন, বিগত এক দশকে বাংলাদেশ সামাজিক উন্নয়নসহ অনেক ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব অগ্রগতি হয়েছে। এটি বন্ধুপ্রতীম দেশের জন্য ভালো লাগার বিষয়।

দীর্ঘমেয়াদী ভিসা ও সহজীকরণ সংক্রান্ত প্রশ্নে সঞ্জিব ভাটি বলেন, বৈশ্বয়িক মরণঘাতি ভাইরাস করোনার কারণে স্বাস্থ্য নিরাপত্তাসহ সার্বিক কারণেই ভিসা প্রদানে কিছুটা জটিলতা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ভিসা প্রক্রিয়াটাও সহজ হয়ে যাবে। তিনি তার বক্তব্যে পেঁয়াজের বিষয়টিও তুলে ধরেণ। পাবনা প্রেসক্বাবের প্রতি তার অধিক মমত্ববোধ থাকায় তৃতীয় দফা এসে আরো আসার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেণ। হাই কমিশনার সম্পূর্ণ ইংরেজিতে বক্তব্য রাখেন।

শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় পাবনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বক্তব্যে সঞ্জিব কুমার ভাটি উপরোক্ত কথা বলেন।

পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ইয়াদ আলী মৃধা পাভেলের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন প্রেসক্লাব সভাপতি সৈকত আফরোজ আসাদ। অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য দেন একুশে পদকপ্রাপ্ত দেশবরেণ্য সাংবাদিক ও কলামিষ্ট রণেশ মৈত্র, প্রবীন সাংবাদিক রবিউল ইসলাম রবি, আব্দুল মতীন খান, প্রেসক্লাব সহসভাপতি মীর্জা আজাদ, শহিদুর রহমান শহিদ, সাবেক সহসভাপতি আখতারুজ্জামান আখতার, সাংবাদিক ও কলামিষ্ট হাবিবুর রহমান স্বপন, সাবেক সাধারন সম্পাদক আঁখিনূর ইসলাম রেমন, আহমেদ উল হক রানা প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই দু’দেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশন শেষে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার সঞ্জিব কুমার ভাটিকে প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা স্মারক উপহার দেয়া হয়।

পাবনা প্রেসক্লাবকে ভারতীয় হাইকমিশনের পক্ষ থেকে ৩ টি কম্পিউটার প্রদান করা হয়। হাই কমিশনার পর্যায়ক্রমে পাবনা প্রেসক্বাবে আরো সহযোগিতা আশ্বাস দেন। 

একুশে পদকপ্রাপ্ত দেশবরেণ্য সাংবাদিক ও কলামিষ্ট পাবনা প্রেসক্বাবের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক রণেশ মৈত্র তিস্তা নদীর বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন,“ভারত আমাদের বন্ধু দেশ। এ বিষয়টি যদিও সরকারের বিষয়; তবুও হাই কমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।” তিনি প্রেসক্বাবের লাইব্রেরীটি আরো সম্মৃদ্ধি করার জন্য তার কাছে কিছু ভালো বই উপহার দেয়ার জন্য আহ্বান জানান।  

হাবিবুর রহমান স্বপন ভারতের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শনের স্মৃতি তুলে বক্তব্য রাখেন।অন্যান্য বক্তারা বন্ধুপ্রতীম দেশ ভারতের এই হাই কমিশনারের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে আগামীতে আরো এখানে আসার জন্য তাকে আমন্ত্রণ জানান।