ভাংগুড়ায় দু’ইউপি নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ

আগামী ২০ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য ভাংগুড়ায় দু’টি ইউপি নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। রোববার (৪ অক্টোবর) উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে ভাংগুড়া ও মন্ডতোষ এই দু’ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত নারী আসন ও সাধারণ আসনের প্রার্থীদের মধ্যে এই প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। এসময় নিজ নিজ ইউনিয়ন পরিষদের স্ব-স্ব প্রার্থীদের সাথে তাদের সমর্থকবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

উপজলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২০ শে অক্টোবরে ইউপি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে।আর এই ভোট গ্রহণকে সামনে রেখেএ দু’ইউনিয়ন পরিষদের ভোটাদের মধ্যে নানান আলোচনা ও কৌতুহলের শেষ নেই।

গত ৩ অক্টোবর ছিল মনোয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। শেষ দিনে দু’ইউনিয়ন পরিষদের ১০ জন চেয়ারম্যান পদ প্রার্থীদের মধ্যে শুধুমাত্র ভাংগুড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোঃ শফিকুল ইসলাম তার মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেছেন। বর্তমানে ভাংগুড়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদন্দ্বীতা করছেন আওয়ামীলীগ বিএনপিসহ মোট ৪জন।

তারা হলেন- আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্ত মোঃ বেলাল হোসেন খাঁন। তার প্রতীক নৌকা। বিএনপি সমর্থিত মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বিত্যুৎ । তার প্রতীক ধানের শীষ। স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ গোলাম ফারুক টুকোন । তিনি পেয়েছেন ঘোড়া প্রতীক। অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহিদুজ্জামান তিনি পেয়েছেন আনারস প্রতীক।

অপরদিকে মন্ডতোষ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিলকারী পাঁচজনের মধ্যে কেউই গত ৩ তারিখে তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। তাদের মধ্যে আওয়ামীলীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ আফছার আলী । তার প্রতীক নৌকা। বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ আকরাম হোসেন। তার প্রতীক ধানের শীষ।স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ নুর ইসলাম মিন্টু । তিনি পেয়েছেন ঘোড়া প্রতীক। স্বতন্ত্র অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুর রশিদ তিনি পেয়েছেন আনারস প্রতীক। স্বতন্ত্র অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ জাকির হোসেন তিনি পেয়েছেন মোটর সাইকেল প্রতীক।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারি রির্টানিং অফিসার রোকসানা নাসরিন জানান, ভাংগুড়া ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, সংরক্ষিত মহিলা আসনে ৯জন, সাধারণ আসনে ২৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।

অপরদিকে মন্ডতোষ ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৫জন, সংরক্ষিত মহিলা আসনে ৮জন, সাধারণ আসনে ২৫জন প্রার্থী রয়েছেন। সকল প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দের কাজ শেষ হয়েছে। প্রতীক বরাদ্দের পর পরই প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতার ভাব পরিলক্ষিত হয়।