ঘুষ লেনদেনের মামলায় মিজান-বাছিরের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ ২১ অক্টোবর

ঘুষ লেনদেনের মামলায় মিজান-বাছিরের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ ২১ অক্টোবর

মিজানুর রহমান ও খন্দকার এনামুল বাছির

অবৈধভাবে তথ্য পাচার ও ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বরখাস্তকৃত পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমান ও বরখাস্তু দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ ২১ অক্টোবর।

বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলমের আদালতে সাক্ষ্য দেন দুদকের সহকারী পরিচালক আজিজুল হক ও দুদকের কনস্টেবল আলীমুজ্জামান শেখ। গত ১৬ সেপ্টেম্বর দুদকের উচ্চমান সহকারী জিল্লুর রহমান ও প্রধান সহকারী এএসএম আবু জাফর বিশ্বাস সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। বুধবার তাদেরকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জেরা করেন অতঃপর আদালত বাকি সাক্ষীদের জন্য আগামী ২১ অক্টোবর পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার থাকাকালে বিয়ে গোপন করতে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ত্রীকে গ্রেফতার করানোর অভিযোগ ওঠে ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে। এছাড়া এক সংবাদ পাঠিকাকে প্রাণনাশের হুমকি ও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) হয়।

নারী নির্যাতনের অভিযোগে ২০১৯ সালের জানুয়ারির শুরুর দিকে তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়। এরপর ওই বছরের ২৪ জুন সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মিজানুরের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। এর অনুসন্ধান কর্মকর্তা ছিলেন দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির।

মামলার তদন্ত চলাকালে ডিআইজি মিজান অভিযোগ করেন, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে রেহাই দিতে দুদকের পরিচালক এনামুল বাছির তার কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন। এ অভিযোগ ওঠার পর বাছিরকে সরিয়ে দুদকের আরেক পরিচালক মো: মঞ্জুর মোরশেদকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়।

ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে দুদকের পরিচালক শেখ মো: ফানাফিল্যাকে প্রধান করে তিন সদস্যের দলকে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেয়া হয়। এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই মিজান ও বাছিরের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ মামলা করেন ফানাফিল্যা।

২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েসের আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের পরিচালক শেখ মো: ফানাফিল্যা। ৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েস আসামিদের উপস্থিতিতে এ চার্জশিট গ্রহণ করেন। ১৮ মার্চ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। অতঃপর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করেন।