আপন দুই বোনকে ধর্ষণের অভিযোগে বাড়ির কেয়ারটেকার গ্রেফতার

আপন দুই বোনকে ধর্ষণের অভিযোগে বাড়ির কেয়ারটেকার  গ্রেফতার

প্রতীকী ছবি

নারাণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাঅধীন মিজমিজি এলাকার কান্দাপাড়ায় আপন দুই কিশোরী বোনকে ধর্ষণের অভিযোগে আবু বক্কর (৪৮) নামের এক বাড়ির কেয়ারটেকারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।  সোমবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে একটি আবাসিক ভবনের খালি ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙ্গে  তাকে গ্রেফতার করা হয়। আবু বক্কর ওই আবাসিক ভবনে কেয়ারটেকার হিসেবে কাজ করেন।

ভবনের মালিক ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর পুলিশ আসার ঘটনা টের পেয়ে তাকে নিজ বাড়ির একটি ফ্ল্যাটে লুকিয়ে রেখেছিলেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার পর বাড়ির মালিক জাহাঙ্গীর পলাতক রয়েছেন বলে জানা গেছে।

গত ৫ অক্টোবর ওই ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও মীমাংসার আশ্বাস দিয়ে কালক্ষেপণ করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীদের বাবা।

তিনি জানান, তিনি একটি ডেকোরেটরের দোকানে চাকরি করেন। তার এক মেয়ের বয়স ১১, অপরটির বয়স ১৩। মেয়ে দুটিকে তিনি স্থানীয় হোসিয়ারিতে কাজে লাগিয়েছিলেন।

গত ৫ অক্টোবর কাজ থেকে সন্ধ্যায় বাসায় না ফিরে এলাকায় ঘুরছিল। জাহাঙ্গীরের বাড়ির সামনে ঘোরাফেরা করার সময় বাড়ির কেয়ারটেকার আবু বক্কর মেয়ে দু'টিকে ঘোরাফেরার কারণ জিজ্ঞেস করে এবং ফুসলিয়ে তার সঙ্গে ওই বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। অনেক রাতে বাড়িতে ফিরে এলে মেয়েরা পরের দিন বিষয়টি খুলে বলে।

ওই রাতেই সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় গেলে সেখানকার পুলিশ সদস্যরা থানায় বড় অফিসার নেই বলে পরের দিন তাকে আসতে বলেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় রহিম মেম্বারের ছেলে মনির বিষয়টি নিয়ে বাড়িওয়ালা জাহাঙ্গীরকে অবগত করে মীমাংসার জন্য চাপ দেন।

কিন্তু বিষয়টি নিয়ে তালবাহানার একপর্যায়ে সোমবার এলাকার যুবকরা বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশে খবর দেয় এবং আবু বক্করকে ধরতে যায়। অবস্থা বেগতিক দেখে বাড়িওয়ালা জাহাঙ্গীর তার কেয়ারটেকার আবু বক্করকে ৪ তলার একটি খালি ফ্ল্যাটে লুকিয়ে রাখেন। অনেক খোঁজাখুঁজির পর পুলিশ তার সন্ধান পেয়ে ওই ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে আবু বক্করকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ সময় সুযোগ বুঝে বাড়িওয়ালা জাহাঙ্গীরও চম্পট দেন।

এ ব্যাপারে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি ওমর ফারুক গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর আমরা পুরো ঘটনা জানতে পারব।