নাগার্নো-কারাবাখ নিয়ে রাশিয়ার মধ্যস্থতায় আর্মেনিয়া-আজারবাইজান চুক্তির ঘোষণা দেয়ার পরই বিক্ষুব্ধ জনতা আর্মেনিয়ার পার্লামেন্টে ঢুকে দেশটির স্পিকার আরারাত মির্জোয়ানকে চরম লাঞ্চিত করার পাশাপাশি গণপিটুনি দেয়।
আর্মেনিয়া
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মঙ্গলবার আর্মেনিয়া-আজারবাইজানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেন। নাগার্নো-কারাবাখ অঞ্চলের বিরোধের অবসান ঘটাতে দেশ দুটি চুক্তি করেছে বলে জানান পুতিন।
নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ 'শুশা' শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে আজারবাইজান। দেশটির প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ রবিবার (৮ অক্টোবর) এক টুইটার বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন।
‘বিতর্কিত নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চলের আরও সাতটি গ্রাম আর্মেনিয়ার সেনাদের দখলমুক্ত করা হয়েছে।’ আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ নিজের অফিসিয়াল টুইটার পেজে দেয়া এক পোস্টে একথা জানিয়েছেন।
বিতর্কিত নাগার্নো-কারাবাখ অঞ্চলের স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট আরায়িক হারুতুনিয়ান এক ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আজারবাইজান।
বিতর্কিত নাগার্নো-কারাবাখ অঞ্চলকে কেন্দ্র করে যুদ্ধ বিরতির মধ্যেই আর্মেনিয় বাহিনীর হামলায় নতুন করে আজারবাইজানের ২১ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও’র সাথে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
আর্মেনিয়া-আজারবাইজানের মধ্যে চলমান নাগার্নো-কারাবাখ যুদ্ধে আরো ৩৭ আর্মেনিয়ান সৈন্য নিহত হয়েছেন। এর ফলে সর্বমোট মৃতের সংখ্যা ৭১০ ছাড়ালো।
বিতর্কিত নাগোর্নো-কারাবাখ এলাকায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার মাত্র কয়েক মিনিটের মাথায় আজারবাইজান তা লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ তুলেছে আর্মেনিয়া
আর্মেনিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে আজারবাইজানের অন্তত ১২ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।