প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্দোলনের নামে কোনো অগ্নিসংযোগ বা নাশকতামূলক কর্মকান্ডে লিপ্ত হলে বিএনপি-জামায়াত চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
রাজনীতি
বাংলাদেশের বিরোধী দল বিএনপি আগামী ২৮শে অক্টোবরের পর ‘মহাযাত্রা’র ঘোষণা দেয়ার পর, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বলছে ‘পরিস্থিতি মোকাবেলা’র জন্য তারাও এখন প্রস্তুত।আগামী মাসে অর্থাৎ নভেম্বরে সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কথা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিরোধী দলকে নির্বাচনে অংশ নিতে বাধা দিচ্ছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী ও সংস্কৃতিকর্মীদের উদ্দেশ্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আগামী একশ’ দিন রাষ্ট্র পাহারা দিতে হবে, কারণ বিএনপি দেশটাকে বিশ্ববেনিয়াদের হাতে তুলে দিতে চাচ্ছে।
বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটিয়ে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়ার যে দাবিতে আন্দোলনরত বিএনপি বলছে, দুর্গাপূজা শেষ হওয়ার পরেই তারা কঠোর আন্দোলনে যাবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণ যতদিন শেখ হাসিনার সঙ্গে আছে, ততদিন কোন বার্তা ও আল্টিমেটাম দিয়ে লাভ হবে না। সংবিধান থেকে একচুলও সরবে না সরকার।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, যে দলের শীর্ষ নেতা চুরি, নাশকতা হত্যার দায়ে অভিযুক্ত, দন্ডিত সেই দলের নেতা কিভাবে আওয়ামী লীগকে আল্টিমেটাম দেয় ?
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি আবারো ডিসেম্বরের মত সরকার পতনের স্বপ্নে বিভোর।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মির্জা ফখরুল সাহেবের বক্তব্যে মনে হচ্ছে পশ্চিমা বিশ্বের অবস্থান যেমন ইসরাইলকে সাহস যোগাচ্ছে, বিএনপিকেও সাহস যোগাচ্ছে -দুটোর মধ্যে মিল আছে।
তাদের আন্দোলন সঠিক পথে রয়েছে দাবি করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশে এবার ভোটার ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না।রবিবার (১৫ অক্টোবর) এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।