আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান বৃহস্পতিবার তাদের উত্তেজনাপূর্ণ সীমান্ত বরাবর গোলাগুলির ঘটনায় পরস্পরকে দোষারোপ করেছে। দেশ দুটির মধ্যে চলা তিন দশকের আঞ্চলিক বিরোধ সমাধানের লক্ষ্যে ইইউ’র উদ্যোগে আলোচনার কয়েকদিন আগে এ বন্দুকযুদ্ধ হলো।
আর্মেনিয়া
আর্মেনিয়ার সাশ্রয়ী মূল্যের এয়ারলাইন ফ্লাইওয়ান আর্মেনিয়ার জন্য আকাশপথ বন্ধ করে দিয়েছে তুরস্ক। আর্মেনিয়ার আর্মেনপ্রেস ফ্লাইওয়ানের চেয়ারম্যান আরাম আনায়ানের শনিবার এ খবর জানিয়েছে।
আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের সীমান্ত অঞ্চল নাগর্নো-কারাবাখ নামে পরিচিত। সেখানেই আছে পাহাড়ে ঘেরা লাচিন করিডোর। এই করিডোর আর্মেনিয়ার সাথে নাগর্নো কারাবাখের একমাত্র যোগসূত্র।
নাগরনো-কারাবাখ নিয়ে আবারও যুদ্ধে জড়িয়েছে প্রতিবেশী দুই দেশ আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান। ইতোমধ্যে এই লড়াই উভয় পক্ষের ১৫৫ জন সেনা নিহত হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে উভয় দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর ঘোষণা দিয়েছে আর্মেনিয়া। যদিও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি আজারবাইজান।
আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে মঙ্গলবার বড় ধরনের সংঘর্ষের পর আবারো বিরোধে জড়িয়েছে দেশ দুটি। মঙ্গলবারের ওই সংঘর্ষে ১০০ জনের মতো আর্মেনীয় সৈন্য নিহত হওয়ার এক দিন পর আবারো সংঘর্ষের কথা জানিয়েছে আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
আর্মেনিয়ার রাজধানী ইয়ারাভানের এক বাজারে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ফলে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া আগুনে তিন জন নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন। সরকারি কর্মকর্তারা এ কথা জানিয়েছেন।
আর্মেনিয়ার প্রেসিডেন্ট আরমেন সার্কসিয়ান পদত্যাগ করেছেন। ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে তিনি বলেছেন, জাতীয় দুর্যোগের মুহূর্তগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় তিনি সাংবিধানিক ক্ষমতার অভাব অনুভব করেছেন।
দুই প্রতিবেশী আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া নতুন করে আবারও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে সীমান্ত এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় আর্মেনিয়ার বহু সেনা হতাহত হয়েছে।
আর্মেনিয়ার সেনারা গত বছরের যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করে কালবাজার অঞ্চলে অবস্থিত আজারবাইজানের সামরিক ঘাঁটিতে গুলিবর্ষণ করেছে। রবিবার আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ১৯১৫ সালের 'আর্মেনিয়া গণহত্যাকে' স্বীকৃতি প্রত্যাখ্যান করেছে তুরস্ক। শনিবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এই প্রত্যাখ্যানের কথা জানানো হয়।