তাপমাত্রা

এবার বৈশাখের শুরুতেই তীব্র খরতাপ। গরমে নাজেহাল অবস্থা। ঘর থেকে বের হওয়াই যেন দায়। এ অবস্থা বিশে^র প্রায় সকল দেশেই।

এই গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত। সারারাত ঘুম হচ্ছে না। তার মধ্যে লোডশেডিংও বাড়ছে। এ অবস্থায় ঘরের মধ্যেও টেকা যাচ্ছে না। তার ওপর দিনের বেলায় ক্লান্তি মারাত্মক বাড়ছে। 

পাবনা প্রতিনিধি: তীব্র দাবদহে শনিবার পাবনায় হিট স্ট্রোকে একজন মারা গেছেন। এদিন পাবনায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকড করা হয়েছে।

বেশ কিছুদিন ধরেই সারদেশে তীব্র তাপমাত্রা বইছে। এরমধ্যে রাজধানী ঢাকার আবহাওয়াও ব্যতিক্রম নয়। তীব্র এই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে আরও কয়েকদিন। আজ রোববার (২১ এপ্রিল) আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কাঠফাটা রোদে তপ্ত চারপাশ। তাপমাত্রার এ পারদ প্রতিদিনই চড়ছে। তাতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। অস্বস্তিকর গরমে ঘর ছেড়ে বেরোনোই দায়! শনিবার (২০ এপ্রিল) দেশের ১২টি জেলায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির বেশি ছিল। এর মধ্যে যশোর, চুয়াডাঙ্গাসহ তিন এলাকায় তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি বা তার বেশি ছিল।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যেও হিটওয়েব দেখা দিয়েছে। শুক্রবার রাজ্যের ১৮টি জায়গায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গণ্ডি ছাড়িয়েছে। কিছু জায়গায় দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৬ থেকে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও বেশি

টাঙ্গাইলে সপ্তাহব্যাপী দাবদাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন।শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে টাঙ্গাইল আবহাওয়া অফিস। এটিই জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলে নিশ্চিত করেছেন অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক জামাল হোসাইন।

তীব্র তাপদাহ অব্যাহত রয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। টানা তিন দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এ জেলায়। টানা তাপদাহে অতিষ্ঠ এখানকার জনপদ। 

পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় গত ৪৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল গতকাল সোমবার। এদিন তাপমাত্রা উঠেছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যা আজ সারাদেশের মধ্যেও সর্বোচ্চ। চলতি মৌসুমেও এটিই সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। 

পশ্চিমবঙ্গের সাত জায়গায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো।