করোনা রোগীদের চিকিৎসায় ফাইজারের তৈরি প্যাক্সলোভিড ট্যাবলেট দেশে উৎপাদনের অনুমতি পেতে মার্কিন প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে চীন।
ফাইজার
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও উৎপাদনকারী সংস্থা ফাইজারের অনুমোদনক্রমে ফাইজার কোভিড-১৯ টিকার মেয়াদ (রেডি টু ইউজ) ৩০ নভেম্বর ২০২২ থেকে বাড়িয়ে ২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
করোনাভাইরাসের টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা মডার্না মামলা করতে চলেছে অন্য টিকা প্রস্তুতকারী ফাইজার এবং বায়োএনটেকের বিরুদ্ধে। মডার্নার অভিযোগ, এই দুই সহযোগী সংস্থা করোনার টিকা তৈরির সময় তাদের স্বত্ব লঙ্ঘন করেছে।
সারাদেশে কিশোর ও প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের টিকাদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশকে ফাইজারের তৈরি কোভিড-১৯ টিকার আরো এক কোটি ডোজ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
চীন শনিবার বলেছে, হালকা থেকে মাঝারি অসুস্থতা এবং গুরুতর অসুস্থতার উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে, এমন প্রাপ্ত বয়স্কদের চিকিৎসার জন্য ফাইজারের কোভিড-১৯ ওষুধ প্যাক্সলভিড ‘শর্তসাপেক্ষে’ অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ওষুধ প্রস্তুতকারক ফাইজার এবং এর জার্মানভিত্তিক অংশীদার বায়োটেক মঙ্গলবার ফুড এন্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের কাছে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য তাদের কোভিড-১৯ টিকা ব্যবহারের অনুমোদন চাইবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উপদেষ্টা প্যানেল শুক্রবার ফাইজার-বায়োএনটেক কোভিড-১৯ টিকার স্বল্প পরিমাণের একটি ডোজ ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের দেয়ার সুপারিশ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে এসেছে ফাইজারের আরও ২৩ লাখ ডোজ টিকা। শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) দিনগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় টিকার এই চালান।
করোনার সংক্রমণ রোধে সারাদেশে টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে করোনাভাইরাসের টিকার বুস্টার ডোজ হিসেবে ফাইজারের বদলে মডার্নার টিকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন কাবু করে ফেলেছে বহু দেশকে। এর মাঝে সুখবর জানালো করোনা ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজার-বায়োএনটেক। ওমিক্রনকে লক্ষ্য করে আগামী মার্চের মধ্যে ভ্যাকসিন প্রস্তুতের আশা করছে কোম্পানিটি।