বাগেরহাটে ২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত ২ হাজার ৪৫৯ জন যক্ষ্মারোগী শনাক্ত হয়েছে।
যক্ষ্মা
দেশে মৃত্যুর সপ্তম প্রধান কারণ যক্ষ্মা (টিবি)। এখনও রোগটিতে প্রতিবছর ৪২ হাজার মানুষ মারা যায়। যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যক্ষ্মা রোধে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।
যক্ষ্মা বাংলাদেশের জন্য একটি অন্যতম সমস্যা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের যে ৩০টি দেশে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। দেশে যক্ষ্মায় প্রতিদিন ১০০ জনের বেশি মৃত্যু হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঠিক সময়ে যক্ষ্মা শনাক্ত ও সঠিকভাবে ওষুধ সেবন করলে ৯৬ শতাংশ ক্ষেত্রে সুস্থ হওয়া সম্ভব।
বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস আজ। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য–‘হ্যাঁ, আমরা যক্ষ্মা নির্মূল করতে পারি’। যক্ষ্মা রোগের ক্ষতিকর দিক বিশেষ করে স্বাস্থ্য, সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিণতি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে প্রতিবছর এ দিবসটি পালন
উন্নত ও বিনামূল্যে যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসা থাকা সত্ত্বেও জনসচেতনতার অভাব ও সামাজিক কুসংস্কারের কারণে বিপুলসংখ্যক রোগী শনাক্তের বাইরে থেকে যাচ্ছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, যক্ষ্মায় আক্রান্তদের ৯৫ ভাগই চিকিৎসা পাচ্ছেন। সরকার দেশেই তাদের জন্য ওষুধ তৈরি করছে। আগামীতে বিদেশেও রফতানি করা হবে।
সংক্রামক রোগ যক্ষ্মায় দেশে প্রতি বছর নতুন করে ৩ লাখ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। বর্তমানে এ রোগে বছরে ২৯ হাজার জনের মৃত্যু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
যক্ষ্মা অত্যন্ত সংক্রামক রোগ হিসেবে দেশে বড় ধরনের জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি হিসেবে রয়ে গেছে। বছরের প্রথম ছয় মাসে ৯৯ হাজার যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হয়েছে।
যক্ষ্মা এখনো বড় একটি স্বাস্থ্য সমস্যা। যক্ষ্মা যে কারোরই হতে পারে। যক্ষ্মারোগীর কাছাকাছি থাকেন, এমন ব্যক্তি, যেমন পরিবারের সদস্য