বাড়িতে আচমকা হাজির অজ্ঞাত পরিচয়ের একজন। সাহায্য চাইতে আসা সেই আগন্তুক যদি আপনার গোটা জীবনটাই ছারখার করে দেয় তখন কেমন হবে?
শয়তান
পৃথিবীতে মানুষের সবচেয়ে বড় শত্রু শয়তান। তার একমাত্র মিশন হলো, মানুষকে আল্লাহর রহমত থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়া।
যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনের শহরতলীতে ম্যারিয়ট হোটেলে এ বছরের এপ্রিলে যে অনুষ্ঠান হয়েছে, সম্ভবত সেটি ছিল শয়তানের পূজারিদের সবচেয়ে বড় সম্মেলন।
শয়তানের ধোঁকায় পড়ে মানুষ বারবার গুনাহ করে ফেলে, গুনাহের পথ থেকে সরে আসার জন্য তাওবা করে, আবারও আল্লাহর অবাধ্যতায় লিপ্ত হয়। গুনাহ হয়ে গেলে স্বভাবতই মুমিনরা অনুতাপে ভোগেন, পরবর্তী করণীয় ভেবে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান।
গুঞ্জন ছড়িয়েছে প্রিয়াংকা আজকাল শয়তানের পূজা করছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ ঝেড়ে অভিনেত্রী জানান, এটা একটা চক্রান্ত।
তারুণ্য জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়। এ সময়ে মানুষ অনেক বুদ্ধিদীপ্ত ও প্রাণবন্ত হয়ে থাকে। চাইলে ব্যক্তি তখন অনেক কিছু করতে পারে। দেখা যায় অনেকেই এই সময় অবহেলায় নষ্ট করে।
বিভিন্নভাবে শয়তান আদম সন্তানদের প্ররোচনা দেয়। ইবলিশ এ ঘোষণা আল্লাহর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের পরই দিয়েছে। মানুষকে ভুল পথে যাওয়ার এই প্ররোচনা বা ফাঁদ তৈরি নানাভাবে করতে দেখা যায় শয়তানকে।
আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আদম-সন্তানের মাঝে শয়তানের স্পর্শ আছে এবং ফেরেশতারও স্পর্শ আছে। শয়তানের স্পর্শ হল, মন্দের প্রতিশ্রুতি দেওয়া ও সত্যকে মিথ্যাজ্ঞান করা। আর ফেরেশতার স্পর্শ হল, ভালোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া ও সত্যকে সত্যজ্ঞান করা
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘অবশ্যই শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু।’ পৃথিবীতে মানুষের সবচেয়ে বড় শত্রু শয়তান। আল্লাহর অনুগ্রহ ছাড়া কোনো মানুষের পক্ষে তার প্রতারণা থেকে আত্মরক্ষা করা সম্ভব নয়।