লক্ষ্মীপুরে দুর্বৃত্তদের কোপে গৃহবধূ খুন, গৃহকর্তা হাসপাতালে

১৬ অক্টোবর, ২০২৪

লক্ষ্মীপুরে বাড়িতে ঢুকে হারুনুর রশিদ নামে এক ইটভাটার মাঝিকে (শ্রমিক সরদার) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় স্বামীকে বাঁচাতে গেলে গৃহবধূ জেসমিন আক্তারকে (৩৫) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হারুনের ছোট ভাই হিরনকে আটক করেছে পুলিশ।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কায়সার হামিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) রাত আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার কুশাখালী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ঝাউডগি গ্রামের নুর মোহাম্মদ ডাক্তার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

আহত হারুন ওই বাড়ির মৃত আনিছ মোল্লার ছেলে। নিহত জেসমিন হারুনের স্ত্রী।

স্থানীয়রা জানান, হারুনের ৪ থেকে ৫টি গরু রয়েছে। এর মধ্যে একটি গরু অসুস্থ। ঘটনার সময় বাইরে শব্দ হচ্ছিল। হারুন মনে করেছিল তার গরু আবার অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এতে তিনি ঘরের বাইরে বের হন গরু দেখতে। হঠাৎ দুর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ্য করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেয়। এ সময় চিৎকার দিলে হারুনের স্ত্রী জেসমিন ঘর থেকে বের হয়ে ঘটনাটি দেখতে পান। একপর্যায়ে স্বামীকে বাঁচাতে হামলাকারীদের কাছে অনুনয়বিনয় করেন। স্বামীর প্রাণভিক্ষা চান। এর মধ্যে হারুন দৌড়ে পালিয়ে যান। ধারণা করা হচ্ছে, হামলাকারীদের মধ্যে কাউকে জেসমিন চিনে ফেলেছেন। সে কারণে হয়তো তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হামলাকারী ৭ থেকে ৮ জন ছিলেন। হারুনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ দিকে হারুনের সঙ্গে তার ছোট ভাই হিরনের জমি-সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে ঘটনাটি ঘটতে পারে বলে স্থানীয়রা হিরনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

হারুনের চাচাতো ভাই খুরশিদ আলম বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, ডাকাতি করতে বাড়িতে ঢুকে আমার চাচাতো ভাইকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। এ সময় আমার ভাবিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। তবে বাড়ি থেকে কোন কিছু লুট হয়নি।

চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কায়সার হামিদ বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আহত হারুনের সঙ্গেও কথা হয়েছে। নিহত জেসমিনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। স্থানীয়রা ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে হারুনের ভাই হিরনকে আটক করে রাখে। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমরা তাকে থানায় নিয়ে এসেছি। হিরনের সঙ্গে হারুনের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই ঘটনাটি ঘটতে পারে।