সুদানে কলেরার ঝুঁকিতে ৩০ লাখেরও বেশি মানুষ: ইউনিসেফ

১৯ অক্টোবর, ২০২৪

যুদ্ধবিধ্বস্ত সুদানে ৩০ লাখেরও বেশি মানুষ কলেরার ঝুঁকিতে রয়েছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ)।ইউনিসেফ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ শুক্রবার বলেছে, দেশটিতে পাঁচ বছরের কম বয়সী পাঁচ লাখ শিশুসহ ৩১ লাখ মানুষ কলেরার ঝুঁকিতে রয়েছে।

ইউনিসেফের মতে, ২০২৩ সালের এপ্রিলে সুদানে সামরিক বাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনীর মধ্যে সংঘাত শুরু হওয়ার পর টিকাদান কর্মসূচি ৮৫ শতাংশ থেকে প্রায় ৫০ শতাংশে নেমে এসেছে।

পোস্টে বলা হয়েছে, সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে ৭০ শতাংশের বেশি হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেছে এবং ফ্রন্টলাইন স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের কয়েক মাস ধরে বেতন দেওয়া হয়নি।

সুদানে গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে কলেরা, ম্যালেরিয়া, হাম ও ডেঙ্গু জ্বরের মতো মহামারি রোগ ছড়িয়ে পড়েছে, যার ফলে শত শত মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

সুদানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় চলতি বছরের আগস্টে দেশটিতে কলেরার প্রাদুর্ভাব ঘোষণা করে। সামরিক ও আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যেকার সংঘাত রাজধানী খার্তুম এবং অন্যান্য শহরাঞ্চলকে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করেছে, বেসামরিক অবকাঠামো ধ্বংস এবং স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে বিপর্যস্ত করে দিয়েছে।

জাতিসংঘের মতে, সুদানের সংঘাত বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাস্তুচ্যুতি সংকট তৈরি করেছে। জাতিসংঘের ধারণা, চলমান সংঘাতে সুদানে এক কোটিরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে- দেশটির জনসংখ্যার প্রায় এক পঞ্চমাংশ। এর মধ্যে ২০ লাখেরও বেশি সুদানি প্রতিবেশি দেশে পালিয়েছে।

উত্তর আফ্রিকার দেশটিতে টানা ১৮ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা গৃহযুদ্ধে ২০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। তবে অনেকের মতে, এ সংখ্যা এক লাখ ৫০ হাজারের বেশি হতে পারে। 

সূত্র: সিনহুয়া