ফরিদপুরে সরকারি রাস্তর ইট বিক্রির অভিযোগ

২০ অক্টোবর, ২০২৪

ফরিদপুরের সদর উপজেলার ডিক্রিরচর ইউনিয়নের নাজির বিশ্বাসের ডাঙ্গী গ্রামের স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্মাণ করা একটি এইচবিবি (ইটের) সড়কের ইট তুলে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এসময় এলাকাবাসী ইটগুলো আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়।

স্থানীয়রা জানায়, দুর্গম পদ্মার চরের মানুষের জীবন যাত্রায় স্বস্তি ফেরাতে কয়েক বছর আগে নাজির বিশ্বাসের ডাঙ্গী চরের গোরস্থান মসজিদ থেকে পালডাঙ্গী পর্যন্ত এইচবিবি (ইটের) সড়ক নির্মাণ করা হয়। কয়েকদিন ধরে সেখান থেকে ইট তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো। শনিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরের দিকে ইট তুলে ট্রলারে করে নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসীর নজরে আসলে ট্রলারের ইটগুলো আটকে দিয়ে পুলিশে খবর দেয়া হয়। খবর পেয়ে বিকেলে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পান।

স্থানীয় বাসিন্দা ও জেলা বিএনপির সদস্য মো. আসলাম শেখ জানান, ফরিদপুর নদী বন্দর এলাকার প্রভাবশালী মো. আলম শেখের মদদপুষ্ট মো. হান্নান মাতুব্বর ইটগুলো প্রতি হাজার সাড়ে ছয় হাজার টাকায় স্থানীয় মো. ইউসুফ নামের ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেয়। শনিবার ইট ট্রলারযোগে বন্দরে নিয়ে আসলে আমরা সরকারি ইট বুঝতে পেরে তা আটকে দেই। বিষয়টি পুলিশ ও জেলা প্রশাসনকেও অবগত করা হয়।

ইটের ক্রেতা মো. ইউসুফ জানান, তিনি ইটগুলো প্রতি হাজার সাড়ে ছয় হাজার টাকা দামে হান্নান মাতুব্বরের কাছ থেকে ক্রয় করেন। ইটের কিছু টাকা পরিশোধ করলেও সম্পূর্ণ টাকা এখনো পরিশোধ করেননি।

লেবার সরদার হালিম জানান, হান্নান মাতুব্বর তাকে ইট নিয়ে ঘাটে নামিয়ে দেয়ার জন্য কন্টাক্ট করে। আমি লেবার দিয়ে সেগুলো পদ্মা নদীর ওপার থেকে এপারে সিএন্ডবি ঘাটে নিয়ে আসি। 

যদিও হান্নান মাতুব্বর এ অভিযোগ অস্বিকার করেছেন। গেল দুই দিন যাবৎ রাস্তার ইটগুলো তুলে এক ট্রলার নিয়ে যান এবং বাকি  ইটগুলো চুরির সময় বাধা দিয়েছিলেন বলে দাবি করেন।

আলম শেখ জানান, ইট লুটের ঘটনার সাথে আমার কোনও সম্পর্ক নাই। আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এ ঘটনার সাথে আমাকে পরিকল্পিতভাবে জড়ানো হচ্ছে।

ডিগ্রীরচর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বার হায়দার আলী খান বলেন, নদীর উপরে বেশ কিছু দিন ধরে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ইটের তৈরি একটি রাস্তার বেশ কিছু অংশ নদী গর্ভে চলে গেছে। সে সময় কিছু ইট উঠিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের আনা হয়েছিলো। বর্তমানে কে বা কারা সরকারি রাস্তার ইট গুলো তুলে বিক্রি করছে।  

কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদউজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। ইটগুলো স্থানীয় এক ব্যক্তির জিম্মায় রাখা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।