২৩ অক্টোবর, ২০২৪
সকালেই তিন উইকেট হারানোর পর জাগে ইনিংস হারের শঙ্কাও। সেটি যে আপাতত হচ্ছে না, মেহেদী হাসান মিরাজ ও জাকের আলি অনিক নিশ্চিত করেছেন তা।
মিরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ১০৬ রান করার পর ৩০৮ রানের সংগ্রহ গড়ে সফরকারীরা। পরে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে তৃতীয় দিনের মধ্যাহ্নভোজের বিরতি অবধি ৬ উইকেট হারিয়ে ২০১ রান করেছে বাংলাদেশ। মিরাজ ৫৫ রানে এবং জাকের ৩০ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
মিরপুরের আকাশে সকাল থেকেই আজ মেঘের ছায়া, বাংলাদেশের দুলতে থাক ম্যাচ ভাগ্যেও যেন অন্ধকারে ঢাকা। মাহমুদুল হাসান জয় ও মুশফিকুর রহিমের জুটিতে ভর করে আগের দিন কিছুটা স্বস্তি নিয়েই শেষ করেছিল বাংলাদেশ। তৃতীয় দিনের শুরুর চার ওভারও বেশ ভালোভাবেই সামলে নেন তারা। কিন্তু হঠাৎই ঘটে ছন্দপতন।
শেরে বাংলায় ৫ হাজার রানের মাইলফলক গড়ার সুযোগ ছিল মুশফিকের সামনে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে এক ভেন্যুতে ৫ হাজার রানের কীর্তিও এটি। এজন্য দুই ইনিংস মিলিয়ে ৪৪ রান করতে হতো তাকে। সেটি তিনি করেছেন। সেই জায়গায় পৌঁছে অবশ্য আর টিকতে পারেননি তিনি। ৩৯ বলে ৩৩ রান করে প্রোটিয়া পেসার কাগিসো রাবাদার বলে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন মুশি। আগের ইনিংসে তিনি বিদায় নিয়েছিলেন ব্যক্তিগত ১১ রানে।
তবে দিনের শুরুটা হয় জয়কে দিয়ে। রাবাদার বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান জয়। ৯২ বলে ৪০ রান তখন তার। মুশফিকের সঙ্গে জুটি ছিল ৯২ বলে ৪০ রানের। সঙ্গীর বিদায়ের পর বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারেননি তিনি।
বাংলাদেশ আরও বেশি বিপদে পড়ে লিটন দাসের আউটে। কেশভ মহারাজের বল ডিফেন্ড করতে যান তিনি। তার ব্যাটের পাশ দিয়ে বল বেরিয়ে যায়। আবেদন করলেও আউট দিতে রাজি হননি আম্পায়ার। রিভিউ নেবেন কি না, এ নিয়েও অনেক্ষণ দ্বিধায় ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটাররা। রিভিউ নেওয়ার সময়ের শেষ সেকেন্ডে গিয়ে তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মার্করাম।
রিভিউতে দেখা যায়, লিটনের ব্যাট ছুঁয়েই বল গেছে উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে। আউট হয়ে বেশ হতাশ ছিলেন লিটন, ড্রেসিংরুমে যাওয়ার পথে ব্যাট ছুড়ে মারেন। তার বিদায়ের পর ইনিংস হারের শঙ্কাতেই পড়ে যায় বাংলাদেশ।
তা থেকে রক্ষা করার মিশনে নামেন জাকের আলি ও মেহেদী হাসান মিরাজ। তারা অনেকটা সফলও হয়েছেন। দলের বিপদে আরও একবার ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেছেন মিরাজ। ৭ চার ও ১ ছক্কায় তুলে নিলেন টেস্ট ক্যারিয়ারের নবম ফিফটি। আর তাতে ১১২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে মারাত্মক চাপে পড়া বাংলাদেশের ইনিংস হার এড়াতেই দরকার ছিল ৯০ রান। তবে সেখান থেকে প্রতিরোধ গড়েন মিরাজ। অভিষিক্ত জাকেরকে নিয়ে ১০০-এর কাছাকাছি জুটি গড়েছেন তিনি। তাতে ভর করে লিড থেকে স্রেফ এক রানে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ।