২৫ অক্টোবর, ২০২৪
শেখ হাসিনা এ দেশের মানুষের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ গ্রহণের জন্য রাজনীতিতে এসেছিল বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস এর মহা সচিব আল্লামা মামুনুল হক। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের মানুষ ও জাতির বিরুদ্ধে নয়, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধেও প্রতিশোধ নিয়েছে।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) লক্ষীপুর শহরের লিল্লাহ জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে এক গণ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মামুনুল বলেন, এভাবে বিভাজনের ও প্রতিশোধের রাজনীতি করে বাংলাদেশকে ধ্বংস করার যত আয়োজন সব করা হয়েছে। হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হতে চাননি চেয়েছিলেন তিলকবাদী মুখ্যমন্ত্রী হতে। মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দুর্নীতি করে দেশকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছে শেখ হাসিনা।’
মামুনুল হক বলেন, শুধু জুলাই-আগস্টে ১ হাজার ৬৩২ জন মানুষকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা হয়েছে। আরও অসংখ্য মানুষ গুম-খুনের শিকার হয়েছে। তাদের লাশ পর্যন্ত পরিবার-পরিজন পায়নি। এভাবেই স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ক্ষমতার মসনদকে আঁকড়ে ধরে রাখতে চেয়েছিল। তার বিরুদ্ধে শতাধিক গুম খুনের মামলা হয়েছে। সেই হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের আইনের শাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দেশের সার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে পাশের দেশ ভারত।
মামুনুল হক অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আহবান জানিয়ে বলেন, ‘যে কোন মূল্যে আন্তর্জাতিক বিশ্বের সহায়তায় সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে। ইন্টারপোলে রেড এলার্ট জারি করে হাসিনা ও তার দোসরদের বাংলার মাটিতে এনে বিচার করতে হবে। ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের মাধ্যমে এটি প্রমাণিত যে তারা সন্ত্রাসী সংগঠন।
মামুনুল হক অন্য দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, রাজনীতিতেতে ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগকে পূনর্বাসিত হওয়ার সুযোগ দেয়া যাবেনা। সেজন্য বিজয়ের আনন্দে আত্মহারা হয়ে থাকলে চলবে না। সবাইকে সজাগ এবং সচেতন থাকতে হবে ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের বিরুদ্ধে। ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে বহুদিন ধরে। যারা বিগত ১৫ বছর স্বৈরাচারে নির্যাতন, নিপিড়ন করেছে হেফাজতে ইসলামের শাপলা চত্বরে আন্দোলনে গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা করেছে। খুব দ্রুতই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা দেয়া হবে।
শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের আন্দোলন ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যার বিচারের দাবী এবং নৈরাজ্যবাদ প্রতিরোধে খেলাফত মজলিস জেলা শাখার আয়োজনে এ গণসমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে জেলা সভাপতি মাওলানা লোকমান হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দিন আহমদ,তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজি, আতা উল্লাহ আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, মোহাম্মদ ফয়সাল, আবু সাঈদ নোমান, ওযায়ের আমিন।