‘লেজার বিম’ দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাবে ইসরায়েল

০৩ নভেম্বর, ২০২৪

আয়রন ডোমের বদলে এবার আয়রন বিম। ইহুদিবাদী দেশটি যুদ্ধের খরচ কমাতে ‘অদৃশ্য’ লেজারকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছে।

হামাস-হিজবুল্লাহ-হুথি আর ইরানের সঙ্গে সংঘাতের মধ্যেই রণাঙ্গনে নতুন হাতিয়ার নিয়ে হাজির ইসরায়েল। 

শুধু তা-ই নয়, যৎসামান্য খরচে যাবতীয় ‘হাওয়াই হামলা’ এই অস্ত্রটি আটকে দেবে বলেও দাবি করেছে তেলআবিব। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

ইসরায়েলের এই নতুন হাতিয়ারের নাম ‘আয়রন বিম’। যা যুদ্ধে ‘গেম চেঞ্জার’ হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ) সূত্রে জানা গেছে, আয়রন বিমের যাবতীয় পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। আগামী বছরের গোড়াতেই একে বিভিন্ন ফ্রন্টে মোতায়েন করবে ইহুদিবাদী সেনারা।

এই আয়রন বিম আসলে কী? এটি প্রকৃতপক্ষে একটি ‘অদৃশ্য আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা’ (এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম) যার সাহায্য শত্রুদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র এবং রকেট মাঝ আকাশেই ধ্বংস করতে পারবে আইডিএফ। তবে কোনও পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে নয়। উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন লেজার বিম ব্যবহার করে এই ধরনের আক্রমণ আটকাবে আয়রন বিম।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, আয়রন বিম রকেট এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছাড়াও মর্টারের গোলা এবং ড্রোন ধ্বংস করতে সক্ষম। ২০২১ সালে এই হাতিয়ারের একটি নমুনা তৈরি করা হয়েছিল। তখন থেকেই আইডিএফের অস্ত্রাগারে আয়রন বিমকে যুক্ত করতে মরিয়া ছিলেন ইহুদি প্রতিরক্ষা গবেষকেরা।

মার্কিন সংবাদ সংস্থা ‘সিএনএন’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েলের এই নতুন হাতিয়ারটি থেকে ১০০ কিলোওয়াটের লেজার বিম ছোড়া যায়। যার পাল্লা সাত কিলোমিটার। অর্থাৎ এই দূরত্বে কোনও রকেট, ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন বা মর্টার চিহ্নিত হলে, তা আকাশেই ধ্বংস করতে পারবে আয়রন বিম।

দ্বিতীয়ত, আয়রন বিমকে এক রকম অদৃশ্য হাতিয়ার বলা যেতে পারে। কারণ, লেজা বিম খালি চোখে দেখা যায় না। ফলে শত্রুর পক্ষে তাদের রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে কোন রাস্তা দিয়ে লেজার বিম ছুটে আসবে তা বোঝা শক্ত।

বর্তমানে স্বল্পপাল্লার রকেট এবং ক্ষেপণাস্ত্র মাঝ আকাশে ধ্বংস করার জন্য ইহুদি সেনার হাতে রয়েছে ‘আয়রন ডোম’ নামের একটি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। গত এক বছরে যার উপর নির্ভর করে হামাস-হিজবুল্লাহ-হুথি এবং ইরানের বহু হামলা ঠেকিয়েছে আইডিএফ। কিন্তু সম্প্রতি এর কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

এই পরিস্থিতিতে আগামী বছর থেকে আয়রন ডোমের জায়গায় আয়রন বিম ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।