চুয়াডাঙ্গায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠন

০৪ নভেম্বর, ২০২৪

এবার চুয়াডাঙ্গা জেলায় ১০১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এটি জেলা পর্যায়ে তাদের দ্বিতীয় আহ্বায়ক কমিটি।

এর আগে গত শনিবার কুষ্টিয়া জেলায় ১১১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

রোববার (৩ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফেসবুক পেজে ছয় মাসের জন্য চুয়াডাঙ্গা জেলার ১০১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সদস্যসচিব আরিফ সোহেলের স্বাক্ষর রয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই কমিটিতে আসলাম হোসেন অর্ককে আহ্বায়ক, সাফফাতুল ইসলামকে সদস্যসচিব, সজীবুল ইসলামকে মুখ্য সংগঠক ও তামান্না খাতুনকে মুখপাত্র করা হয়েছে৷ এ ছাড়া ৮ জনকে যুগ্ম আহ্বায়ক, ৯ জনকে যুগ্ম সদস্যসচিব, ৫ জনকে সংগঠক ও ৭৫ জনকে সদস্য করা হয়েছে।

কুষ্টিয়া জেলায় আহ্বায়ক কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন শুরু করেছে। পর্যায়ক্রমে অন্য জেলাগুলোতেও কমিটি গঠন করবে তারা।

শনিবার (২ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফেসবুক পেজে কুষ্টিয়া জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্যদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়। আগামী ছয় মাসের জন্য এই আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

ঘোষিত এই কমিটির আহ্বায়ক কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী মো. হাসিবুর রহমান, সদস্যসচিব কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মো. মোস্তাফিজুর রহমান। কমিটিতে মুখ্য সংগঠক হয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এম ডি বেলাল হোসেন বাঁধন এবং মুখপাত্র করা হয়েছে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের পারভেজ মোশাররফকে। এ ছাড়া কমিটিতে ১০ জনকে যুগ্ম আহ্বায়ক, ১১ জনকে যুগ্ম সদস্যসচিব, ৭ জনকে সংগঠক ও ৭৯ জনকে সদস্য করা হয়েছে।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গত ১ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে টানা আন্দোলন শুরু হয়। সেই আন্দোলনে পতন ঘটে টানা ১৫ বছরের বেশি ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের।

আন্দোলন পরিচালনায় গত ৮ জুলাই ৬৫ সদস্যের সমন্বয়ক কমিটি গঠন করেছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। গত ৩ আগস্ট কমিটির সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে ১৫৮ করা হয়।

গত ২২ অক্টোবর রাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সংবাদ সম্মেলন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ১৫৮ সদস্যের সমন্বয়ক কমিটি বিলুপ্ত করে চার সদস্যের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি গঠন করার কথা জানায়। কমিটিতে হাসনাত আবদুল্লাহকে আহ্বায়ক, আরিফ সোহেলকে সদস্যসচিব, আবদুল হান্নান মাসউদকে মুখ্য সংগঠক ও উমামা ফাতেমাকে মুখপাত্র করা হয়।