দিনে কতটুকু লবণ খাওয়া উচিত? জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

০৪ নভেম্বর, ২০২৪

স্বাস্থ্যের জন্য লবণ ক্ষতিকর এ কথা সবার জানা। লবণ কম খেলে এড়ানো যায় হৃদরোগ ও কিডনি সংক্রান্ত সমস্যা। একটি সার্ভের মাধ্যমে এমনই প্রমাণ পেয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। লবণ খাওয়া কমিয়ে দিলে আগামী ১০ বছরে প্রায় ৩ লক্ষ মানুষের জীবন বেঁচে যাবে বলে জানাচ্ছেন তারা। 

বিশ্বের অনেক দেশেই মানুষ প্যাকেটজাত খাবারে থাকা অত্যধিক লবণ খাচ্ছেন। যার কারণে বাড়ছে রোগবালাই। সুস্থ থাকতে তাই দিনে কতটুকু লবণ খেতে হবে এবং কীভাবে এই পরিমাণ কমিয়ে বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি এড়ানো যাবে তা জানা জরুরি। 

দিনে কতটা লবণ খাবেন? 
ডব্লিউএইচওর একটি নতুন সমীক্ষা অনুযায়ী, প্রতিদিন ৫ গ্রামের কম লবণ খাওয়া উচিত। এতে দুই গ্রামের কম সোডিয়াম ঢুকবে শরীরে। এই নিয়ম মানলে আগামী ১০ বছরে হৃদরোগ এবং দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগে মৃত্যুর হাত থেকে প্রায় ৩ লক্ষ মানুষ বেঁচে যাবেন। এই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে দ্য ল্যানসেট পাবলিক হেলথে। 

ভারত ও আমাদের দেশে একজন ব্যক্তি প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১১ গ্রাম নুন খান, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত সীমার চেয়ে অনেকটা বেশি। আর বেশি লবণ খাওয়ার কারণেই উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের মতো গুরুতর সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।

খাবারে লবণের ব্যবহার
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় বা আমাদের দেশি খাবারে লবণের ব্যাপক ব্যবহার হয়। ২০১৪ সালে, দেশীয় রান্নায় ৮০ শতাংশেরও বেশি বসোডিয়াম গ্রহণ করেছিল। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্যাকেটজাত খাবারের ব্যবহার বৃদ্ধির সঙ্গে এই অনুপাতেও পরিবর্তন আসছে। নোনতা স্ন্যাকস এবং রেডি-টু-ইট খাবারের বিক্রি দ্রুত বেড়েছে। ফলে বেড়েছে সোডিয়াম গ্রহণের পরিমাণও। যদিও ব্রিটেন, আর্জেন্টিনা এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশগুলো প্যাকেটজাত খাবারে সোডিয়ামের পরিমাণ কমাতে সক্ষম হয়েছে।

২০১৮ সালে ভারতের ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটিও 'ইট রাইট ইন্ডিয়া' নামে একটি উদ্যোগ নিয়েছিল। সোডিয়াম খাওয়া কমাতে, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার জন্য মানুষকে উৎসাহিত করতে নেওয়া হয়েছিল উদ্যোগ। 


আমাদের শরীর সুস্থ থাকার জন্য সুষম খাদ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সুষম খাদ্যেই প্রয়োজনীয় সমস্ত পুষ্টি থাকে। তবে, আমাদের লবণ ও তেল খাওয়া কমিয়ে দেওয়া উচিত। কারণ এগুলোর অত্যধিক ব্যবহার আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। তাই, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০২৫ সালের মধ্যে সোডিয়াম গ্রহণের পরিমাণ ৩০ শতাংশ হ্রাস করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।