০৪ নভেম্বর, ২০২৪
বছরের শুরুতেই আবারও বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। রাজধানীর বাজারগুলোতে এক সপ্তাহ আগের ১২০ টাকা কেজি পেঁয়াজ এখন লাফিয়ে বেড়ে ১৫০ টাকা হয়ে গেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন— বাজারে আগাম পেঁয়াজের সরবরাহ নেই এবং আমদানির ক্ষেত্রে ডলারের দাম বৃদ্ধিও সমস্যার কারণ।
দীর্ঘ সময় দাম স্থির থাকার পর, গত কয়েকদিনে এক কেজি পেঁয়াজের দাম ৩০ টাকা বেড়ে গেছে। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ক্রেতাদের ১৫০ টাকা দিয়ে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে। ক্রেতারা অভিযোগ করছেন, সরকারের নজরদারি না থাকায় ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন অজুহাতে দাম বাড়াচ্ছেন।
বাজারে আসা কিছু ক্রেতা জানান, তারা মনে করেছিলেন কারওয়ান বাজারে দাম কম হবে, কিন্তু এখানে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তারা আশা করছেন, ভোক্তা অধিকার এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিলে সাধারণ মানুষ উপকার পাবে।
ব্যবসায়ীরা জানান, অতিবৃষ্টির কারণে আগাম মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে আসতে দেরি হওয়ায় দাম বেড়েছে। তারা আশা করছেন, নতুন পেঁয়াজ বাজারে এলে দাম কমে যাবে। তবে দেশের বাজারে দেশি পেঁয়াজের চাহিদা বেশি, কিন্তু আমদানি কম হচ্ছে।
এদিকে, ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে পেঁয়াজের সরবরাহ কমে গেছে। আমদানিকারকরা জানাচ্ছেন, নতুন পেঁয়াজ বন্দর পর্যন্ত আসতেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, ফলে পুরাতন পেঁয়াজ বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।
মেসারস রাব্বি ট্রেডারসের আমদানিকারক রেজাউল করিম জানান, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে ৫-৬ দিন লাগে, এ কারণে এগুলো নষ্ট হয়ে যায়।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক বলেন, এলসির সময় ডলারের রেট বাড়ায় বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম কমছে না।
কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম খান জানিয়েছেন, ১০ লাখ টন পেঁয়াজ যদি আগাম আমদানি করা যেত, তাহলে বাজারে সরবরাহ সংকট হতো না। কিন্তু প্রয়োজন অনুযায়ী আমদানি সম্ভব হয়নি।
টিসিবির হিসাবে, গত এক মাসে খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম ৩০ শতাংশ এবং আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ৮ শতাংশ বেড়েছে।