০৫ নভেম্বর, ২০২৪
জাকাত ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ রুকন ও ফরজ ইবাদত। পবিত্র কোরআনে জাকাত আদায়ের নির্দেশ দিয়ে মহান আল্লাহ বলেন- وَ اَقِیْمُوا الصَّلٰوةَ وَ اٰتُوا الزَّكٰوةَ ‘তোমরা নামাজ আদায় করো এবং জাকাত প্রদান করো। (সুরা বাকারা: ১১০)
নিসাব পরিমাণ সম্পদের ওপর এক বছর অতিবাহিত হলে তার ৪০ ভাগের এক ভাগ (২ দশমিক ৫০ শতাংশ) জাকাত দেওয়া জরুরি।
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে জাকাত দিতে হবে। অর্থাৎ কেউ যদি হজের উদ্দেশ্যে টাকা জমিয়ে রেখে বছরের পর বছর হজ না করে থাকেন, তাহলে ওই টাকার ওপর জাকাত আসবে। যদি ওই জমানো টাকার ওপর বিগত সময়ে দুয়েক বছর জাকাত না দিয়ে থাকেন, তা-ও আদায় করতে হবে।
এক্ষেত্রে নিয়ম হবে- আগের বছরের জাকাত বাদ দিয়ে পরবর্তী বছরের জাকাতের হিসাব বের করা। যেমন- ৫ লাখ টাকার ওপর প্রথম বছরের জাকাত আসবে ১২ হাজার ৫০০ টাকা, দ্বিতীয় বছরের জাকাত ৪,৮৭,৫০০ টাকার ওপর ১২ হাজার ১৮৭.৫ টাকা ও চলতি বছরের জাকাত ৪,৭৫,৩১২.৫ টাকার ওপর ১১ হাজার ৮৮২.৮১ টাকা আদায় করতে হবে।
আর যত দ্রুত সম্ভব হজ আদায় করে নিতে হবে। কেননা বিনা ওজরে হজ আদায়ে বিলম্ব করা গুনাহ। (ফতোয়ায়ে খানিয়া: ১/২৫৫; খুলাসাতুল ফতোয়া: ১/২৪০; ফাতহুল কাদির: ২/১১৮; আলবাহরুর রায়েক: ২/২০৪; আদ্দুররুল মুখতার: ২/২৫৯-২৬১, ৪৫৭)