ফ্লোরিডা ও সাউথ ক্যারোলাইনায় ট্রাম্পের জয়

০৬ নভেম্বর, ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল আসতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে ১৪টি অঙ্গরাজ্যের ভোটের ফলাফল এসেছে। এগুলোতে বড় ব্যবধানে এগিয়ে আছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইতোমধ্যে শতাধিক ইলেকটোরাল ভোট পেয়েছেন তিনি। বিপরীতে কমলা হ্যারিস পেয়েছেন ২৭ ভোট।

ট্রাম্প যেগুলোতে জয় পেয়েছেন তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ‘ব্যাটেলফিল্ড’ ফ্লোরিডা ও সাউথ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যেও আছে।

এরই মধ্যে বিভিন্ন বুথফেরত জরিপের ফলও আসতে শুরু করেছে। এর মধ্যে একটিতে এগিয়ে রয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প।

 এনবিসির জরিপে দেখা যায়, ৫১ শতাংশ ভোটার অর্থনীতি পরিচালনার ক্ষেত্রে ট্রাম্পের ওপরই আস্থা রাখছেন। যেখানে কমলা হ্যারিসকে সমর্থন করছেন ৪৭ শতাংশ ভোটার। এছাড়া, ৭২ শতাংশ ভোটার বলেছেন, তারা দেশের অবস্থা নিয়ে ‘রাগ’ বা ‘অসন্তুষ্ট’। এটিকে বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলার জন্য ‘খারাপ লক্ষণ’ হিসেবেই দেখা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়-পরাজয় নির্ধারিত হয় একজন প্রার্থীর পাওয়া ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের মাধ্যমে। ভোটে জিতে একজন প্রার্থীকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে হলে অন্তত ২৭০টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেতে হয়।

এই ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের প্রতিটি অঙ্গরাজ্যেই পৃথকভাবে ভোটারদের সরাসরি ভোটে জয় পেতে হয়।

দেশটির ৫০টি অঙ্গরাজ্য ও রাজধানী অঞ্চল ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়া মিলিয়ে মোট ইলেকটোরাল ভোট ৫৩৮টি। একেক অঙ্গরাজ্যের জন্য বরাদ্দ ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা সেই রাজ্যের জনসংখ্যার ওপর নির্ভর করলেও দেশটির সংবিধান অনুযায়ী প্রতিটি অঙ্গরাজ্য অন্তত তিনটি ইলেকটোরাল ভোটের অধিকারি। এর বাইরে অঙ্গরাজ্যগুলোর জনসংখ্যার অনুপাতে ইলেকটোরাল ভোট নির্ধারিত হয়।

এই হিসাবে সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার অঙ্গরাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ায় আছে সবচেয়ে বেশি ইলেকটোরাল ভোট, ৫৪টি; এরপর টেক্সাসে ৪০টি, ফ্লোরিডায় ৩০টি, নিউ ইয়র্কে ২৮টি। সাধারণ অনুমান বলে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণে এই অঙ্গরাজ্যগুলোরই সবচেয়ে বেশি ভূমিকা থাকবে।

চার বছর আগে ডেমোক্র্যাট পার্টির প্রার্থী জো বাইডেন নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হেরেছিলেন। ওই নির্বাচনে বাইডেন ৩০৬টি ইলেকটোরাল ভোট পেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হন। হেরে যাওয়া ট্রাম্প পেয়েছিলেন ২৩২টি ইলেকটোরাল ভোট।

বাইডেন আট কোটি ১২ লাখের বেশি পপুলার ভোট পেয়েছিলেন, যা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর পাওয়া সর্বোচ্চ ভোট। এর বিপরীতে ট্রাম্প পেয়েছিলেন সাত কোটি ৪২ লাখের বেশি ভোট।

কিন্তু এর আগেরবার ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী ডনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে ৩০ লাখের বেশি পপুলার ভোট পেলেও ইলেকটোরাল কলেজের ভোটে হেরে পরাজিত হয়েছিলেন।