গণতন্ত্র ও অর্থনীতিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন মার্কিন ভোটাররা

০৬ নভেম্বর, ২০২৪

ইতিহাসের নতুন এক অধ্যায়ের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্র। নিজেদের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট বেছে নিতে ভোট দিচ্ছেন মার্কিন জনগণ। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি রাজ্যে ভোটগ্রহণ শেষে শুরু হয়ে গেছে গণনা। কয়েকটি রাজ্যে বুথ বন্ধ হবে আর কয়েক ঘণ্টা বাদেই। এরই মধ্যে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে ফলাফল; যেখানে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের চেয়ে ভালো ব্যবধানেই এগিয়ে আছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। সবশেষ প্রাপ্ত ফল অনুযায়ী, সাবেক প্রেসিডেন্ট এরই মধ্যে পেয়ে গেছেন ১৯৮ ইলেকটোরাল ভোট। আর কমলা হ্যারিস পেয়েছেন ১১২ ইলেকটোরাল ভোট।

এক্সিট পোল তথা বুথফেরত জরিপের প্রাথমিক তথ্যের বরাত দিয়ে মার্কিন গণমাধ্যমগুলো বলছে, ২০২৪ সালের এই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মার্কিন ভোটাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্ব পেয়েছে মূলত দুটি বিষয়। সেগুলো হচ্ছে—গণতন্ত্র ও অর্থনীতি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এই বুথফেরত জরিপের প্রাথমিক তথ্যে দেখা যাচ্ছে, মার্কিন ভোটারদের কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে গণতন্ত্র আর অর্থনীতির অবস্থা। এর মধ্যে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ভোটার তাদের গুরুত্বের তালিকায় গণতন্ত্রকে শীর্ষে রেখেছেন।

আর তারপরই জায়গা পেয়েছে অর্থনীতি, গর্ভপাত, অভিবাসন এবং বৈদেশিক নীতির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো।

২০০৮ সালের পর থেকে প্রতিটি নির্বাচনেই ভোটারদের কাছে অর্থনীতি প্রধানতম ইস্যু হলেও এবারের বুথফেরত জরিপে গণতন্ত্রের সঙ্গে অর্থনীতির দূরত্ব ছিল সামান্যই। প্রায় ৬০ শতাংশ হ্যারিস সমর্থক গণতন্ত্রকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মনে করলেও ট্রাম্প সমর্থকদের মধ্যে মাত্র ১০ শতাংশের কাছে বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে।

অন্যদিকে ট্রাম্পের প্রায় ৫০ শতাংশ সমর্থক অর্থনীতিকে শীর্ষে রেখেছেন, যেখানে কমলা হ্যারিসের সমর্থকদের মাত্র ১০ শতাংশ তার সঙ্গে একমত পোষণ করেন। তবে উভয়পক্ষের মধ্যেই গণতন্ত্র নিয়ে সমান উদ্বেগ রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ ভোটার বলেছেন, তারা গণতন্ত্র নিয়ে ‘অনেক’ বা ‘কিছুটা’ হুমকির আশঙ্কা করছেন। আর প্রতি ১০ জনের মধ্যে প্রায় সাতজন ভোটার নির্বাচনের ফলাফল ঘিরে সহিংসতার বিষয়ে চিন্তিত।

অন্যদিকে দুই-তৃতীয়াংশ ভোটার জাতীয় অর্থনীতির অবস্থা ‘খারাপ’ বলে মনে করেন, তবে এ সংখ্যা ট্রাম্প সমর্থকদের মধ্যেই বেশি।

প্রসঙ্গত, এবার যুক্তরাষ্ট্রে মোট ২৪ কোটি ৪০ লাখ ভোটার রয়েছেন। তবে তাদের মধ্যে কতজন ভোট দিয়েছেন, সেটা এখনও নিশ্চিত নয়। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটগ্রহণ শুরুর আগে দেশটির বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে আগাম ভোট দিয়েছিলেন প্রায় ৮ কোটি ২০ লাখ মানুষ।