জলদস্যুদের হাতে অপহৃত ১৯ জেলে তিনদিন পর উদ্ধার

১০ নভেম্বর, ২০২৪

বঙ্গোপসাগরে জলদস্যুদের হাতে অপহরণের তিনদিন পর ১৯ জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (১০ নভেম্বর) সকালে তাদের উদ্ধার করা হয়।

জানা গেছে, জলদস্যুরা একটি ফিশিং ট্রলারে অপহৃত জেলেদের সাগরে ফেলে রেখে চলে যায়। সকালে ভাসমান অবস্থায় ফিশিং ট্রলারটিকে অন্য একটি ফিশিং ট্রলার উদ্ধার করে কুতুবদিয়ার পথে রওনা হয়েছে। 

উদ্ধার ১৯ জেলে হলেন- উপজেলার উত্তর ধূরুং ইউনিয়নের আজিম উদ্দিন সিকদার পাড়ার মনছুর আলম, জমির বাপের পাড়ার শাহ আলম, রুহল আমিন ও নয়ন, চাটি পাড়ার নাছির উদ্দীন, শাহজাহান, আব্বাস উদ্দিন ও তৌহিদ, কাইসার পাড়ার প্রকাশ শুনাইয়া ও রেজাউল করিম, ফরিজ্যার পাড়ার গিয়াস উদ্দিন, মেহেদি হাসান, সাকিব, ইদ্রিস ও সায়েদ, কুইলার পাড়ার সাগর, দক্ষিণ ধূরুং ইউনিয়নের মশরফ আলী বলির পাড়ার প্রকাশ কালু ও রুবেল। তবে নোয়াখালীর এক জেলের নাম জানা যায়নি। 

ধারণা করা হচ্ছে, প্রশাসনের উদ্যোগে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর তৎপরতায় জলদস্যুরা নিজেদের রক্ষার্থে অপহৃত জেলেদের সাগরে ফেলে রেখে চলে গেছে। 

ফিশিং ট্রলার বাঁশখালী শেখেরখীল এলাকার মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, জলদস্যুরা তাদের একটি ফিশিং ট্রলারের মেশিন বিকল করে ১৯ জেলেকে নিয়ে সাগরে ভাসমান অবস্থায় ছেড়ে দেয়।

এমতাবস্থায় ফিশিং ট্রলারটি মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় আসলে মাঝির সহকারী শাহ আলম তাকে ফোন করে বিষয়টি জানান। পরে ফিশিং ট্রলারটি নিয়ে আসার জন্য কুতুবদিয়া থেকে আরো একটি ফিশিং ট্রলার পাঠানো হয়েছে। এ পর্যন্ত জলদস্যুরা কোনো প্রকার মুক্তিপণ দাবি বা যোগাযোগ করেনি।

কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ক্যাথোয়াইপ্রু মারমা বলেন, অপহৃত ১৯ জেলেদেরকে উদ্ধারের বিষয়টি আমি অবগত আছি।

গত বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দিবাগত রাতে মহেশখালীর সোনাদিয়া দ্বীপের পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরে জলদস্যুরা মাছ ধরার ‘আল্লাহ দয়া’ নামের ফিশিং ট্রলারে ডাকাতি করে। এসময় ফিশিং ট্রলারের মাঝি মোকাররম হোসেন গুলিবিদ্ধ হন।  গুলিবিদ্ধ মাঝিকে নিয়ে ফিশিং ট্রলারের জেলে জয়নালকে উপকূলে পৌছে দেন তারা। পরে, বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে মাঝি মোকাররম হোসেনের মৃত্যু হয়।