লজ্জার রেকর্ড গড়লেন গার্দিওলা ও ম্যানসিটি

১০ নভেম্বর, ২০২৪

মৌসুম শুরুর আগে থেকেই ইউরোপীয় ক্লাবগুলো ইনজুরির সতকর্তা শুনিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিল। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নতুন ফরম্যাট তাদের ব্যস্ততা বাড়িয়ে দিয়েছে। তারই প্রভাব– একের পর এক ফুটবলারের ইনজুরি। চোটে বিপর্যস্ত ম্যানচেস্টার সিটিও মাঠে তার নেতিবাচক ফল পাচ্ছে। ১৮ বছরে এই প্রথম টানা ৪ ম্যাচে হেরেছে ইতিহাদের ক্লাবটি। যা পেপ গার্দিওলার কোচিং ক্যারিয়ারেও প্রথমবার ঘটল।

প্রতিপক্ষের মাঠে গতকাল শনিবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ২-১ গোলে হেরেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। আর্লিং হালান্ডের গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে তারা দুই গোল হজম করে। ম্যানচেস্টার সিটি ১৮ বছরের মধ্যে এই প্রথম সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা চারটি ম্যাচ হারল। এর আগে সবশেষ তাদের এমন অভিজ্ঞতা হয়েছিল স্টুয়ার্ট পিয়ার্সের কোচিংয়ে, ২০০৬ সালে। এর ২ বছর পরই আবুধাবির ধনকুবের শেখ মানসুর মালিকানায় নেন সিটি।

অন্যদিকে, ২০০৬ সালের পর থেকে ম্যানেজারিয়াল ক্যারিয়ারে কখনও এমন দিন দেখেননি ম্যানসিটির কোচ গার্দিওলা। বার্সেলোনা, বায়ার্ন মিউনিখ হয়ে এখন ম্যানচেস্টার সিটির ডাগআউটে আছেন এই স্প্যানিশ কোচ। কিন্তু সিনিয়র ফুটবলের এই ক্যারিয়ারে কখনোই তাকে টানা চার ম্যাচ হারতে হয়নি। ম্যানচেস্টার সিটিতে এবার সেটাই দেখতে হলো তাকে।

এর আগে ২০১৪-১৫ মৌসুমে বায়ার্ন মিউনিখে থাকাকালে গার্দিওলা টানা তিন ম্যাচ হেরেছিলেন। জার্মান কাপে তার দল টাইব্রেকারে হেরে টানা দ্বিতীয় হার নিশ্চিত করে। আগের দুটি ম্যাচ হারে বুন্দেসলিগা, যদিও জার্মানির সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতার টাইটেলটি ততদিনে তারা জিতে নিয়েছে। চার মৌসুমে টানা প্রিমিয়ার লিগের টাইটেল জেতা সিটিতে কি গার্দিওলার সুখের মুহূর্ত ফুরিয়ে এলো? এই প্রশ্নে স্প্যানিশ এই কোচেরে জবাব, ‘মানুষ এটাই চাচ্ছে, না? এটাই স্বাভাবিক…আমরা অনেক জিতেছি। আমি আমার হাতে থাকা স্কোয়াড নিয়ে নিজের চেষ্টাটা করতে চাই।’

সিটির এমন দশা যেন হওয়ারই কথা ছিল! কারণ দলটি যে একপ্রকার হাসপাতালে পরিণত হয়েছিল একের পর এক চোটের ধাক্কায়। গত মৌসুমের পারফরম্যান্সে ব্যালন ডি’অরজয়ী রদ্রিগো হার্নান্দেজ ছিটকে গেছেন এসিএল ইনজুরিতে। এ ছাড়া চার সেন্টারব্যাক রুবেন দিয়াজ, জন স্টোন্স, ম্যানুয়েল আকাঞ্জি ও নাথান অ্যাকে–কে পাচ্ছেন না গার্দিওলা। কেভিন ডি ব্রুইনা গতকাল ইনজুরি থেকে ফিরলেও তিনি পুরো ফিট নন। এর বাইরে কাইল ওয়াকার, জ্যাক গ্রিলিশ, জেরেমি ডকু, অস্কার ববরা–ও ইনজুরিতে রয়েছেন।

এমন পরিস্থিতির জন্য আবারও ব্যস্ত সূচিকে দায় দিয়েছেন গার্দিওলা, ‘আমরা অবারও জয় পেতে চেষ্টা অব্যাহত রাখব। টানা চার হার থেকে বেরিয়ে আসতে দ্রুত কিছু পরিবর্তন আবশ্যক। সূচি কঠিন হয়ে যাচ্ছে, তবে এটি (জয় পাওয়া) সম্ভব হবে যদি চোট থেকে ‍ফুটবলাররা ফেরে। সম্ভবত সাত বছর প্রিমিয়ার লিগের ছয়টি শিরোপা জিতেছে সিটি, সম্ভবত এক বছর ভিন্ন কোনো দল সেটি পেতেই পারে।’