১২ নভেম্বর, ২০২৪
ভারতের মণিপুর রাজ্যে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে সন্দেহভাজন ১১ কুকি সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। সোমবার (১১ নভেম্বর) জিরিবাম জেলার একটি পুলিশ স্টেশনে দুইদিক থেকে সন্ত্রাসীরা হামলা চালালে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। খবর সিনহুয়া ও এনডিটিভির।
হামলায় ভারতীয় আধাসামরিক বাহিনী সিআরপিএফের এক জওয়ান গুরুতর আহত হয়েছেন, তাকে আসামের শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর সিআরপিএফ জিরিবামে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করেছে।
সূত্র জানায়, এলাকাটিতে এখনো অস্থিরতা বিরাজ করছে। পুলিশ স্টেশনের পাশেই একটি পুনর্বাসন কেন্দ্র থাকায় সেটিও হামলার শিকার হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে জিরিবামে কারফিউ জারি করা হয়েছে। হামলার পর সন্ত্রাসীরা জিরিবামের বরবেকরা এলাকার একটি ছোট গ্রামে পৌঁছে সেখানে বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে লিপ্ত হয়।
ঘটনাস্থল থেকে আরপিজি এবং একে সিরিজের অ্যাসল্ট রাইফেল উদ্ধার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। জিরিবাম এলাকায় কুকি সন্ত্রাসীদের সঙ্গে এর আগেও নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ হয়েছে।
কুকি নাগরিক সমাজ দাবি করেছে নিহতদের সবাই ছিলেন 'গ্রাম স্বেচ্ছাসেবক।' তাদের প্রাণহানির প্রতিবাদে কুকি অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার এক হামলায় হমার জনগোষ্ঠীর এক নারীকে তার স্বামীর সামনেই ধর্ষণ করা হয়, ধর্ষণের পর তার শরীরে ধরেয়ে জ্যান্ত পুড়ে হত্যা করা হয়। ধারণা করা হয়, এই ঘটনায় মেইতেই সম্প্রদায়ের সম্পৃক্ততা ছিল। পরদিন মেইতেই সম্প্রদায়ের এক নারী ক্ষেতে কাজ করার সময় সন্দেহভাজন কুকি সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন। এসব সহিংসতার কারণে কৃষকরা এখন মাঠে কাজ করতে যেতে চাইছেন না, যা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।