স্বাস্থ্যসেবা অধ্যাদেশ জারি করতে চাচ্ছে সরকার

১৯ নভেম্বর, ২০২৪

জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করার পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত ও সর্বজনীন সুরক্ষার লক্ষ্যে ‘স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা আইন-২০২৪’ প্রণয়ন করতে চায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। তার আগে আইনের আদলে স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৪ জারি করতে তৈরি করা হয়েছে খসড়া অধ্যাদেশ। সে সম্পর্কে জনমত জানতে চায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের ওয়েবসাইটে অধ্যাদেশ সম্পর্কে মতামত আহ্বান করা হয়েছে।

এতে উল্লেখ করা হয়, ‘স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৪’ আইনে পরিণত হলে পাবলিক, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবাদানকারী সব প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রযোজ্য হবে। স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্বাস্থ্যসেবা গ্রহীতার সুরক্ষা দেওয়া এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়বদ্ধতা নিশ্চিতের লক্ষ্যে এ অধ্যাদেশ প্রণয়ন করা হয়েছে।

এতে দেশে নিরাপদ ও মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান যথাযথভাবে পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণে প্রণীত ‘দ্য মেডিক্যাল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিক অ্যান্ড ল্যাবরেটরিস (রেগুলেশন) অর্ডিন্যান্স, ১৯৮২’ রহিত করা হবে বলেও উল্লেখ রয়েছে।

খসড়া আইনে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত ফি, পরীক্ষা ফি গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে নির্ধারণ করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত চিকিৎসকদের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে সময় নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ সরকারি অফিস চলাকালীন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসাসেবা দিতে পারবেন না, এমনকি চেম্বার করতে পারবেন না। এর ব্যত্যয় হলে প্রতিষ্ঠানকে ৫ লাখ এবং ব্যক্তিকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করার বিধান রাখা হয়েছে।

খসড়ায় চিকিৎসাজনিত অবহেলার ক্ষেত্রে আদালতের পরোয়ানা ছাড়া গ্রেফতার করতে বিধিনিষেধ দেওয়া আছে। এছাড়া চিকিৎসকের ওপর হামলা, আক্রমণ কিংবা হুমকির ক্ষেত্রেও আমলযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করার বিধান রাখা হয়েছে। এক্ষেত্রে ৩ লাখ টাকা জরিমানা অথবা দুই বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। আর চিকিৎসকের কাজে বাধা, হামলা করা হলে কিংবা স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি করলে ৫ লাখ টাকা এবং একই অপরাধ দ্বিতীয়বার করলে দ্বিগুণ জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

চিকিৎসায় অবহেলার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী ব্যক্তিকে ১০ লাখ টাকা এবং প্রতিষ্ঠানকে অনধিক ২০ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে। একই অপরাধ পুনরায় করা হলে জরিমানা দ্বিগুণ করার বিধান রাখা হয়েছে অধ্যাদেশে।