১৩টি নো-বলে লজ্জার রেকর্ড বুমরাহর

১৫ আগস্ট, ২০২১

২৬ ওভারে ৭৯ রান খরচ করেও কোনো উইকেট পাননি। তবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে লর্ডস টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৩টি নো-বল করে ফের আলোচনায় জসপ্রীত বুমরাহ। গত এক দশকে কোনও টেস্টের একই দিনে বুমরাহর থেকে বেশি নো-বল আর কেউ করেননি। সেদিক থেকে লর্ডসে জসপ্রীত হতাশাজনক নজির গড়লেন বলা যায়।

একা বুমরাহই নন, দলগতভাবে কোনো টেস্টের এক দিনে এত নো-বল করার নজির সাম্প্রতিক সময়ে আর দেখা যায়নি। ২০১৪ সালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শ্রীলঙ্কা এক দিনে ১৫টি নো-বল করেছিল। ভারত লর্ডসের তৃতীয় দিনেই করে ১৪টি নো-বল। সবমিলিয়ে ভারত প্রথম ইনিংসে মোট ১৭টি নো-বল করে। বুমরাহর ১৩টি ছাড়া জাদেজা ২টি এবং ইশান্ত ও শামি ১টি করে নো-বল করেন। বুমরাহ তো এক ওভারে চারটি নো-বলের বিরল নজিরও গড়েন ক্রিকেটের তীর্থক্ষেত্রে।

বুমরাহর এমন নো-বলের বহর দেখে জাহির খান অবাক হলেও কারণ খুঁজে বার করেছেন। টিম ইন্ডিয়ার সাবেক তারকা মুম্বই ইন্ডিয়ান্স শিবিরে খুব কাছ থেকে বুমরাহকে দেখেছেন। লর্ডসের তৃতীয় দিনে বুমরাহর পরপর ওভার-স্টেপ করা নিয়ে জাহিরের দাবি, বুমরাহ হয় নিজের যথাযথ রান-আপ খুঁজে পাচ্ছিলেন না। নতুবা উইকেট নেয়ার চেষ্টায় মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন।

তৃতীয় দিনের শেষে ক্রিকবাজের সাথে আলোচনায় জাহির বলেন, ‘যদিও এটা যথাযথ বর্ণনা করা মুশকিল। কারণ, সবটাই রান-আপ সংক্রান্ত। তবে রান-আপের স্বাভাবিক ছন্দ, পদক্ষেপ ও যেখান থেকে ঝাঁকুনি নিচ্ছে, কোথাও একটা সমস্যা হচ্ছে।’

জাহির আরো বলেন, ‘আর দ্বিতীয়ত, আমার মনে হয়েছে যে, বুমরাহ যখনই উইকেট পায় না, তখন বোলিংয়ে বাড়তি কিছু করার এবং আরো জোরে বল করার চেষ্টা করে। তবে যেভাবে শেষে অ্যান্ডারসনকে বল করে বুমরাহ, তাতে দেখার যে জিমি কিভাবে পালটা দেয়।’

উল্লেখ্য, অ্যান্ডারসনকে এক ওভারে বাউন্সার ও ইয়র্কারে যারপরনাই বিব্রত করেন বুমরাহ। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ইনিংসের ১২৬তম ওভারে চারটি নো-বল করেন জসপ্রীত। বুমরাহর সেই ওভারে মোট ১০টি ডেলিভারির মোকাবিলা করতে হয় অ্যান্ডারসনকে।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস