০২ এপ্রিল, ২০২২
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) কার্যক্রম চালানো বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিটের কেন্দ্রে অনুমোদন নেই বলে জানা গেছে। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা. এস এ মালেক স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে পরিষদের কেন্দ্র ঘোষিত বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির কাছেও স্বীকৃত নয় সংগঠনটি। কেন্দ্র ঘোষিত কমিটির নেতাদের দাবি, সুচতুরতার সাথে ‘বঙ্গবন্ধু পরিষদ’ নাম ব্যবহার করে কতিপয় শিক্ষক উদ্দেশ্যমূলকভাবে শিক্ষক ইউনিট নামে নতুন সংগঠন খুলেছেন। দেশের কোথাও শিক্ষক ইউনিট নামে বঙ্গবন্ধু পরিষদের কোন ইউনিট নেই।
শনিবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন কেন্দ্র ঘোষিত কমিটির নেতারা। সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরফিন লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন। পরিষদের শাখা সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে এসময় কেন্দ্রীয় কমিটির আইন সম্পাদক অধ্যাপক ড. শাহজাহান মন্ডল, ইবি শাখার সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেনসহ অর্ধশত শিক্ষক-কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তব্যে তারা বলেন, শিক্ষক ইউনিটের সদস্যরা গভীর দূরভিসন্ধি ও অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারি তথা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে তাদেরকে আদর্শচ্যুত করতে তৎপর হয়ে উঠেছে। এরই ধারাবাহিকতায় তারা গত ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে বিশ্ববিদ্যালয় স্মৃতিসৌধের শহীদ বেদীতে হট্টগোল, গালাগালি ও বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরী করে মহান স্বাধীনতার মহিমাকে ভূলুন্ঠিত করেছে। এহেন অপকর্ম করতে তারা অত্যন্ত সক্রিয়ভাবে ও সুচতুরতার সাথে ‘বঙ্গবন্ধু পরিষদ’ শব্দ ব্যবহার করে একটি সংগঠন গড়ে তুলেছে। যাদের সাথে জড়ো হয়েছে আদর্শচ্যুত, স্বীকৃত দুর্নীতিবাজ, সর্বমহলে ধীকৃত অনুপ্রবেশকারী, মধ্যস্বত্বভোগী একদল ব্যক্তি।
বক্তারা বলেন, শেখ হাসিনার অর্জিত উন্নয়নের গতিধারা ও অর্জনসমূহ নস্যাৎ ও প্রশ্নবিদ্ধ করার অশুভ উদ্দেশ্যে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক পরিবেশ বিনষ্ট করার হীন উদ্দেশ্যে ক্যাম্পাস পরিমন্ডলে এই অনুপ্রবেশকারী-সুবিধালোভী চক্র যে অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে; তা একদিকে যেমন বঙ্গবন্ধু পরিষদের নীতি-আদর্শের সাথে সম্পূর্ণরূপে সাংঘর্ষিক অন্যদিকে, বাঙালী জাতীয়তাবাদ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পরিপন্থী এবং শেখ হাসিনার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বিরোধী। ফলে, জাতির পিতার নামাঙ্কিত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের পক্ষ থেকে আবারো এ সকল চক্রের অশুভ ফাঁদে পা না দিতে আমরা সকলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাই।
এদিকে, গত ২৭ মার্চ পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা. এস এ মালেক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্র ঘোষিত কমিটিই বিশ্ববিদ্যালয়ে একমাত্র বৈধ কমিটি। নিয়ম মাফিক মেয়াদ থাকা পর্যন্ত এই কমিটি কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
এ বিষয়ে ইবি বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিটের সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী আখতার হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিট নতুন কোন সংগঠন নয়। সংগঠনের কলেবর বৃদ্ধি পাওয়ায় ২০১৫ সালে শিক্ষকদের নিয়ে শিক্ষক ইউনিট গঠন করা হয়। আগে কেন্দ্র কোন কমিটি অনুমোদন দিত না। কমিটি করে কেন্দ্রে পাঠানো হতো, আমরাও সেভাবেই করেছি। একই নামে কেন্দ্রের অনুমোদন ছাড়া সংগঠন কার্যক্রম চালাতে পারে কী-না এ প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা আপাতত কিছু বলছিনা, কিছুদিনের মধ্যেই বিষয়গুলো পরিষ্কার হয়ে যাবে।