ইউক্রেনের যে দাবি ‘মৌখিকভাবে’ মেনে নিল রাশিয়া

০৩ এপ্রিল, ২০২২

গত সপ্তাহে তুরস্কে মু্খোমুখি বৈঠকে বসেন রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা। আর ওই বৈঠকে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়, রাশিয়ার দাবি অনুযায়ী ইউক্রেন নিরপেক্ষ দেশ থাকবে। তারা ন্যাটো বা কোনো সামরিক জোটে যোগ দেবে না। 

তবে এর বদলে ইউক্রেনকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে হবে। 

নিরাপত্তা নিশ্চয়তার বিষয়টি এমন; কয়েকটি দেশ ইউক্রেনের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে এবং তাদের বাইরের দেশের আক্রমণ থেকে রক্ষা করবে। 

ইউক্রেনের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে পারে তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি এবং ফ্রান্স। এই দেশগুলোর সঙ্গে থাকবে রাশিয়াও। 

তবে এ বিষয়টির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ইউক্রেনের জনগণের গণভোটের মাধ্যমে।

আর ইউক্রেনের অন্যতম প্রতিনিধি ডেভিড আরকামিয়া জানিয়েছেন, ইউক্রেনের এ প্রস্তাবটি রাশিয়া মৌখিকভাবে মেনে নিয়েছে। 

তাছাড়া ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেনস্কি ও রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে খুব শীঘ্রই আলোচনাও হবে বলে জানান তিনি। কারণ তাদের দুইজনের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমেই এ ‍যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটতে পারে।

ইউক্রেনের পক্ষ থেকে আরেকটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, সেটি হলো বর্তমানে রাশিয়ার অধীনে থাকা ক্রিমিয়া নিয়ে আলোচনা করা।

কিন্তু ইউক্রেনের এ দাবিটি না মানার কথা জানিয়েছে রাশিয়া। 

এ ব্যাপারে ডেভিড আরকামিয়া ইউক্রেনের গণমাধ্যমকে বলেন, রাশিয়া অফিসিয়ালি সব অবস্থান নিয়ে উত্তর দিয়েছে। তারা ইউক্রেনের নিরপেক্ষ থাকার বিষয়টি মেনে নেবে। তবে তারা ক্রিমিয়া নিয়ে কোনো আলোচনা করবে না। 

তিনি আরও বলেন, রাশিয়া লিখিত আকারে প্রস্তাব মেনে নেওয়ার কথা জানায়নি। তারা মৌখিকভাবে বলেছে।

সাংবাদিকরা ডেভিড আরকামিয়াকে জিজ্ঞেস করেন যদি গণভোটে ইউক্রেনের জনগণ সায় দেয় যে, তারা নিরপেক্ষ থাকবে না। তখন কি হবে?
 
এমন প্রশ্নের জবাবে ডেভিড আরকামিয়া বলেছেন, হয়তা আমরা আবার যুদ্ধে জড়াব নয়ত আবার নতুন আলোচনা করব। 

পুতিন-জেলেনস্কির বৈঠকের ব্যাপারে এ প্রতিনিধি বলেন, এখনো ঠিক হয়নি কখন কোথায় আলোচনা হবে। তবে আমাদের বিশ্বাস আলোচনার স্থানটি তুরস্কের আঙ্কারা অথবা ইস্তানবুলে হবে। 

সূত্র: আল জাজিরা