মানবাধিকার দিবসে ইবির ল’ এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের বর্ণাঢ্য র‌্যালি

১০ ডিসেম্বর, ২০২২

নানা আয়োজনে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ঘোষণাপত্রের ৭৫ বছর পূর্তি ও মানবাধিকার দিবস-২০২২ উদযাপন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আইন অনুষদভূক্ত ল’ এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগ। দিবসটি উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি, পায়রা অবমুক্তকরণ ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার আয়োজন করে বিভাগটি।

শনিবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সোয়া ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবন থেকে র‌্যালি শুরু করেন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। র‌্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটক সংলগ্ন ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ ম্যুরালের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে দিবসটি উপলক্ষে শান্তি ও মুক্তির প্রতীক পায়রা অবমুক্ত করণ ও সংক্ষিপ্ত আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।

বিভাগের সভাপতি সাহিদা আখতারের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিভাগটির সহকারী অধ্যাপক বিলাসী সাহা।

সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে মানুষ হতে আসে। আচার-ব্যবহার কথাবার্তা ইত্যাদির মাধ্যমে তাদের দ্বারা কখনো যেন কেউ আঘাত না পায়, মানুষের অধিকারের প্রতি যেন সম্মান প্রদর্শন করে। মানুষ হিসেবে তারা যেন পাঠ সমাপ্ত করে বেরিয়ে যেতে পারে। আমরা একে অপরকে সহযোগিতা করব, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখব, এই হোক আজকের দিনে আমাদের প্রত্যয়।

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব, আর শ্রেষ্ঠ অধিকার হলো মানবাধিকার। আমরা চাই, সারা বিশ্বে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠিত হোক।

দিবসটি পালন উপলক্ষে বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক সাহিদা আখতার বলেন, মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্রের প্লাটিনাম জুবিলি অর্থাৎ ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে এবছর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস বিশেষ তাৎপর্য বহন করছে। সারা বিশ্বেই দিবসটি বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে পালিত হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ল’ এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের এই আয়োজন। আমরা এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মাঝে মানবাধিকার ঘোষণাপত্রের উদ্দেশ্য, গুরুত্ব ও এর বার্তাগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।

উল্লেখ্য, ১৯৪৮ সালের এই দিনে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মানবাধিকারের ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়। পরবর্তীতে ১৯৫০ সালে এই দিনটিকে জাতিসংঘ বিশ্ব মানবাধিকার দিবস হিসেবে ঘোষণা দেয়। সেই থেকে বিশ্বজুড়ে দিনটি পালিত হয়ে আসছে।