১৪ জানুয়ারী, ২০২৪
গত এক সপ্তাহ ধরে দেশের উত্তরাঞ্চলে রাভভর বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। সূর্যের দেখা মিলছে না বিকেল পর্যন্ত। দিনভর কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে সড়ক ও মাঠঘাট। সেই সঙ্গে বইছে কনকনে ঠাণ্ডা হাওয়া। এক সপ্তাহ ধরে উত্তর জনপদের জেলাগুলোতে এমন অবস্থা। চলমান শৈত্যপ্রবাহে সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় ঠকঠক কাঁপছে দিনাজপুরের মানুষ। গতকালের মতো আজও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে এ জেলায়।
দিনাজপুর আবহওয়া অফিসের তথ্যমতে, রোববার (১৪ জানুয়ারি) ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে জেলাটিতে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯০ ভাগ। চলতি বছরে এটি দিনাজপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। জেলার ওপর দিয়ে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। চলতি সপ্তাহে জেলায় স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভবনাও আছে।
এদিকে প্রচণ্ড শীতে কাবু হয়ে পড়েছে জনজীবন। কুয়াশার কারণে অনেক বেলা পর্যন্ত হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে দূরপাল্লার যানবাহন। সন্ধ্যার পরে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। শীতের সকালে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন ছিন্নমূল আর গ্রামীণ মানুষ। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া শ্রমজীবীরা।
রাজমিস্ত্রী মনজের সরকার বলেন, প্রায় সপ্তাহখানেক ধরে শীতের প্রকোপটা বেশি। প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় কাজ করতে খুব সমস্যা হচ্ছে। শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না।
ভ্যানচালক আবু তালেব জানান, গত কয়েকদিন ধরে রোদ উঠে না; খুব ঠান্ডা। রাস্তায় মানুষের চলাচল কমে গেছে। বাড়িতে বসে থাকলে পেটে খাবার জুটবে না। তাই প্রচণ্ড শীতের মধ্যেও ভ্যান নিয়ে রাস্তায় বেড়িয়েছেন বাধ্য হয়ে।কিন্তু সকাল থেকে ভাড়া নেই।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, বর্তমানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে এ জেলায়। শনিবার ও রোববার টানা দুই দিন ধরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্র দিনাজপুরে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯০ ভাগ। আকাশের উপরিভাগে ঘন কুয়াশা থাকায় সূর্যের তাপ ভূপৃষ্ঠে পুরোপুরি আসছে না। এজন্য বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। চলতি সপ্তাহের শেষে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমে যেতে পারে।