চাঁদপুরে বাঘড়া বাজারে আগুন, পুড়ে ছাই ১২ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান

০১ মে, ২০২৪

চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের বাঘড়া বাজারে আগুন লেগে ১২টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।

মঙ্গলবার রাত ৩টায় চাঁদপুর-রায়পুর সড়কের পাশে বাজার সম্মুখের ওই মার্কেটে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। তবে কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে আগুনের সূত্রপাত তা কেউ বলতে পারেনি।

বুধবার (১ মে) ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা অনেকেই কান্নাকাটি করছেন। দোকানে রেখে যাওয়া জিনিসগুলো তারা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখছেন। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর কোনো কিছুই অক্ষত নেই। সব পুড়ে ছাই হয়ে আছে।

আগুনে পুড়ে যাওয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- মার্কেটের পশ্চিম দিকের আলমগীরের ভ্যান গাড়ির গ্যারেজ, মো. মোছার মোটরবাইকের গ্যারেজ, হাসানের সাইকেলের দোকান, গণি মিজির চায়ের দোকান, সমুন মিয়ার খাবার হোটেল, বারেক গাজী, মমিন মিয়া ও নজরুল ইসলামের রড সিমেন্টের দোকান, নান্নু বহরদারের জ্বালানি তেলের দোকান, অহিদ মিয়ার ডেকোরেটর দোকান, মানসুর মেম্বারের রড সিমেন্টের দোকান ও রবিন্দ্র কর্মকারের কামারের দোকান।

স্থানীয়রা জানান, রাত আনুমানিক আড়াইটা থেকে পৌনে ৩টার মধ্যে আগুন লাগে। সড়কের পাশে হওয়ায় আগুন লাগার পর পরই তাৎক্ষণিকভাবে লোকজনের নজরে আসে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ফরিদগঞ্জ ও চাঁদপুরের ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন। একই সময়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ। আগুনে সবচেয়ে বেশি জিনিসপত্র পুড়েছে অহিদ মিয়ার ডেকোরেটরের দোকানে। তিনি অল্প কিছুদিন হলো দোকানের সকল আসবাবপত্র নতুন করে ক্রয় করেছেন।

ক্ষতিগ্রস্ত চা দোকানদার গণি মিজি জানান, গত ৮ মাস পূর্বে একই বাজারের ভেতরে তার চা দোকান আগুনে পুড়ে যায়। সেখান থেকে এসে এখানে আবার দোকান শুরু করেন। এখানেও তার সব শেষ হয়ে গেলো। বোনদের কাছ থেকে টাকা ঋণ করে মালপত্র কিনেছেন। পরিবারের ৭ সদস্যের সংসার এখন কীভাবে চলবেন সেই চিন্তা করছেন তিনি।

ক্ষতিগ্রস্ত রড-সিমেন্ট ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, তিনি রাতে ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত ৩টার দিকে তার পাশের ব্যবসায়ী নান্নু বহরদার তাকে ফোন করে জানান তাদের সব দোকান আগুনে পুড়ে গেছে। এসে দেখেন আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস। তার দোকানে থাকা মালামালসহ প্রায় ১৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স চাঁদপুর কার্যালয়ের উপপরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ মোরশেদ হোসেন বলেন, রাত ৩টায় আমরা আগুন লাগার সংবাদ পাই। ৩টা ১০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কাজ শুরু করি। আমাদের দুটি ও ফরিদগঞ্জের দুটিসহ ৪টি ইউনিট একসঙ্গে কাজ করে আধা ঘণ্টার চেষ্টায় ৩টা ৪০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। কাজ শেষে ভোর ৫টায় আমরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করি। আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে। তবে ওই মার্কেটের ১২টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আগুনে পুড়েছে।