কুয়ালালামপুরে শ্রমিকেদের উপচে পড়া ভিড়, চরম দুর্ভোগ

৩১ মে, ২০২৪

আগামীকাল ১ জুন থেকে বিদেশি কর্মীদের জন্য বন্ধ হয়ে যাচ্ছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সিএনএর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। হাতে অল্প সময় থাকায় জরুরিভিত্তিতে ফ্লাইটের ব্যবস্থা করে কর্মী পাঠানো হয়। এতে চাপ পড়েছে কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্ধ হতে যাচ্ছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। ফলে দেশটিতে শেষ সুযোগ হিসেবে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বিপুল পরিমাণ শ্রমিক আনছে। এতে করে বিমানবন্দরে শ্রমিকদের বিশাল জটলা তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন দেশ থেকে আসা শ্রমিকেরা বিমানবন্দরে আটকা পড়েছেন।

অভিযোগ রয়েছে, বিদেশ থেকে শ্রমিক আনার পর তাদেরকে বিমানবন্দর থেকে পুনর্বাসন করছে না নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। ফলে বিমানবন্দরে এখন তিল ধারণের ঠাই নেই।

সামাজিক যোগাযোগমমাধ্যমে বিমানবন্দরের বিভিন্ন ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। এতে কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনালে শ্রমিকদের শুয়ে বসে থাকতে দেখা গেছে। বিমানবন্দরের এমন দৃশ্য ভাইরাল হওয়ার পর এ নিয়ে দেশটির অভিবাসন বিভাগের পরিচালক জেনারেল দাতুন রুসলিন জসুহ মুখ খুলেছেন।

তিনি বলেন, ৩১ মের পর থেকে মালয়েশিয়ায় আর বিদেশি শ্রমিক নিয়োগ করা যাবে না। ফলে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো শেষ সময়ে বিপুল সংখ্যক শ্রমিককে নিয়োগ দিয়েছে। সেসব শ্রমিক আসার কারণে বিদেশি শ্রমিকের সংখ্যা বেড়ে গেছে।

এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, মালয়েশিয়া সরকার বিদেশি শ্রমিক নিয়োগের জন্য ৩১ মে পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। ফলে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।

জেনারেল দাতুন বলেন, মালয়েশিয়ায় সাধারণত প্রতিদিন ৫০০ থেকে এক হাজার বিদেশি শ্রমিক আসেন। তবে গত ২২ মে থেকে এ সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার ৫০০ জনে পৌঁছেছে। এরপর ২৭ মে থেকে তা বেড়ে ৪ হাজার থেকে সাড়ে চার হাজারে গিয়ে ঠেকেছে। শুক্রবার এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও জানান তিনি।

তিনি জানান, শ্রমিকরা যেনো ভোগান্তিতে না পড়েন সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে বিমানবন্দরে পর্যাপ্ত খাবার আর পানীয়ের ব্যবস্থা করা হবে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় নিয়োগকারীদের সহযোগিতা চান তিনি।