চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন দেখেন সৌম্য

০৩ জুন, ২০২৪

টেক্সাসে পর্দা উঠছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। তবে বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টে এখনও মাঠে নামেনি বাংলাদেশ। মাঠে না নামলেও বিশ্বকাপ নিয়ে বেশ রোমাঞ্চিত সৌম্য সরকার। বড় কিছু করার স্বপ্নও দেখেন টাইগার এই ওপেনার। স্বপ্ন দেখেন বৈশ্বিক মহাযজ্ঞের শিরোপা উল্লাসের।

এমনকি বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টকে স্মরণীয়ও করে রাখতে চান তিনি। তার দাবি, যেকোনো বিশ্বকাপে খেলাই গর্বের।

সৌম্যর ভাষ্যমতে, ‘খেলোয়াড় হিসেবে যেকোনো বিশ্বকাপে খেলাই একটা গর্বের বিষয়, ২০১৫ সালে প্রথম বিশ্বকাপ খেলেছিলাম এবারও সেরকম রোমাঞ্চ কাজ করবে। চেষ্টা করব ২০২৪ সালে আমার জন্য স্মরণীয় করতে পারি এবং পাশাপাশি দলকেও ভালো কিছু উপহার দিতে পারি।’

এদিকে ব্যাট হাতে মোটেই ভালো সময় কাটছে না বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর। দলও হারের বৃত্তে আটকে গেছে। অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে লজ্জার সিরিজ পরাজয় দেখেছে

এ প্রসঙ্গে এই ওপেনার জানালেন, ‘শেষ শ্রীলঙ্কা সিরিজে একসঙ্গে ছিলাম। দেখেছি সে (শান্ত) পুরো দলকে একত্র করে ভালো করার চেষ্টা করেছে। আশা করি, সবকিছু একত্র করে একটা বিশ্বকাপে সে সবাইকে সামনে নিয়ে আসতে পারবে। আমার পক্ষ থেকে তার জন্য শুভকামনা; আশা করব, সে বাংলাদেশকে অধিনায়কত্বের দিক থেকে নতুন কিছু উপহার দেবে।’

সৌম্য যোগ করেন, ‘শান্ত নতুন অধিনায়ক, সাকিব (ভাই), রিয়াদ (ভাই) আছে, আমরাও অনেক দিন ধরে খেলছি। সবার অভিজ্ঞতাকে একসঙ্গে করে দল হিসেবে খেললে আশা করি আমরা একটা ভালো টুর্নামেন্ট উপহার দিতে পারব।’

বড় স্বপ্ন প্রসঙ্গে সৌম্য বলেন, ‘সবসময় বড় স্বপ্ন দেখি, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন দেখি। ব্যক্তিগতভাবে আমি বড় স্বপ্ন দেখতে পছন্দ করি। কেউ সেমিফাইনাল বললে আমি বলব ফাইনাল খেলতে যাব। তারপরে রেজাল্টের কথা আসবে। মাঠে ভালো খারাপের উপর ফল আসবে। খেলায় উত্থান-পতন, ভালো-খারাপ, হার-জিত থাকবে। আমরা আমাদের দিক থেকে চাইব নিজেদের সেরাটা দেওয়ার।’

উল্লেখ্য, বিশ্বকাপে গ্রুপ ‘ডি’-তে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, নেপাল, দক্ষিণ আফ্রিকা ও নেদারল্যান্ডস। গ্রুপ পর্বে চারটি ম্যাচ মোট তিনটি ভেন্যুতে খেলবে বাংলাদেশ। টাইগারদের শিরোপা মিশন শুরু হবে ৮ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে।

শান্ত বাহিনীর পরের ম্যাচটি হবে নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে। তবে ১০ জুন বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াইয়ের আগে, এই মাঠে ভারত-পাকিস্তানসহ পাঁচটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। ফলে সাকিব-রিয়াদরা অন্তত কিছুটা ধারণা নিয়ে, মাঠে নামার সুযোগ পাবেন।

বাংলাদেশের পরের দুটি ম্যাচ হবে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংস্টাউনের সেন্ট ভিনসেন্টে। কিংস্টাউনে ১৩ জুন নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলবে টাইগাররা। আর গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে, ১৭ জুন নেপালের বিপক্ষে একই ভেন্যুতে নামবে।